খুলনায় মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ ও বিক্রির অপরাধে চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর লবণচরা থানা এলাকার গল্লামারী বাজারে অভিযান চালিয়ে ২৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

অভিযানে গল্লামারি বাজার এলাকার হারুন ভ্যারাইটিজ স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ ও বিক্রি করার অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় এবং একই অপরাধে কাওসার স্টোরকে ৬ হাজার টাকা ও জহিরুল স্টোরকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ ও বিক্রয় করার অপরাধে মেসার্স শাহজাহান ফার্মেসিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ওয়ালিদ বিন হাবিব, বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (মেট্রো) শরীফা সুলতানা, ক্যাব খুলনার সদস্য জেড. এন. সুমন, বিভাগীয় কার্যালয়ের অন্যান্য সদস্য ও পুলিশ সদস্যরা।

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, খুলনা বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা রোববার দুপুরে খুলনা মহানগরীর লবণচরা থানায় তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করেন। এসময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী, চাল, ওষুধ, ডায়াগনস্টিক, আলু, দেশি পেঁয়াজ, মুরগির বাজার ও ডিমের বাজার দর ও ক্রয় ভাউচার যাচাই করা হয় এবং সব ব্যবসায়ীকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এছাড়া তদারকিকালে সরকার নির্ধারিত মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং কেউ সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি মূল্য নিলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন। অভিযানকালে লবণচোরা থানার গল্লামারি বাজার এলাকায় ওষুধ, মুরগি, ডিম ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাইকারি ও খুচরা বাজার দর যাচাই করা হয়। এসময় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ীদেরকে সচেতন করার পাশাপাশি বাধ্যতামূলকভাবে মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন ও ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ এবং নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মোহাম্মদ মিলন/জেডএস