ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ চার আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার বিকেলে ও শনিবার (৫ অক্টোবর) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন– জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন ভূইয়া (৫০), বিজয়নগর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জুনাইদ মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নূরুল ইসলাম (৫৫) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোহাম্মদ হরমুজ আলী (৬০)।

শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশের মিডিয়া উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, শনিবার সকালে সদর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা উপজেলার রামরাইল এলাকা থেকে রামরাইল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হরমুজ আলীকে গ্রেপ্তার করে। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতা ও পুলিশের ওপর হামলাসহ থানা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, অস্ত্র লুটপাট সংক্রান্ত মামলার আসামি।

শুক্রবার বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চতুর গ্রাম থেকে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন ভূইয়া ও বিজয়নগর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জুনাইদ মিয়াকে বিজয়নগর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তারা বিজয়নগরে নাশকতা ও ভাঙচুর মামলার আসামি।

অপরদিকে শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নূরুল ইসলামকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাকে হত্যা ও বিস্ফোরক মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়।

মাজহারুল করিম অভি/এসএসএইচ