বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় বরিশালে তুমুল বৃষ্টি হয়েছে। গত দুই দিন ধরে থেমে থেমে, কখনো নিরবিচ্ছিন্ন বৃষ্টি হচ্ছে। এতে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। 

বৃষ্টিপাত আরও একদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানা গেছে। বিভাগের একটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর ছাড়া বাকিগুলো স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে বৃষ্টিপাত রেকর্ডে সরকারি দুটি দপ্তরে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১০৭.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মূলত মৌসুমী বায়ু সক্রিয় ও লঘুচাপ সৃষ্টির কারণে এমন আবহাওয়া বিরাজ করছে। আরও একদিন বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। বরিশাল নদী বন্দরকে ১ নম্বর ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলানুসন্ধান বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া ভোলায় ৫০ মিলিমিটার, ঝালকাঠিতে ৬৪ মিলিমিটার, পিরোজপুরে ৮৯.৬ মিলিমিটার, বরগুনায় ৩৭ মিলিমিটার ও পটুয়াখালীতে ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।

দুটি দপ্তরে বৃষ্টি রেকর্ডের তারতম্যের বিষয়ে তিনি বলেন, একই সময়ে একই শহরে সমান অনুপাতে বৃষ্টি হয় না। আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণ যন্ত্র যে স্থানে স্থাপন করা সেখানে যে পরিমাণের বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে সেটাই তাদের তথ্যে উঠে এসেছে। আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের পর্যবেক্ষণ যন্ত্র যে এলাকায় বসানো সেখানে যে অনুপাতে বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে সেটাই উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে ভোলা জেলার তজুমদ্দিন পয়েন্টে মেঘনা নদীর পানি ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া বিভাগের অন্য সবগুলো নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরকে