সম্প্রীতি বিঘ্নিত করার চেষ্টা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল্লাহ্-আল-ফারুক। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাতে বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ্-আল-ফারুক বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষা করা সব ধর্মের সকল নাগরিকের ধর্মীয়, নৈতিক, সামাজিক ও আইনী দায়িত্ব। এ বছর মাল্টি-লেয়ার্ড নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে নোয়াখালী জেলা পুলিশ পূজা উদযাপনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। কেউ যদি শান্তি ও সম্প্রীতি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করে, তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

বছর ঘুরে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আগামী ৮ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে এই দুর্গোৎসব। সারাদেশের মতো নোয়াখালীতেও চলছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা পালনের প্রস্তুতি। নোয়াখালীর ৯ উপজেলা ১৮২টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা ২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে। বিশাল এ আয়োজন সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করছেন।

নির্বিঘ্নে ও উৎসাহ উদ্দীপনায় যাতে দুর্গোৎসব উদযাপিত হতে পারে সেজন্য ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও উপজেলা সেনাবাহিনী প্রতিটি পূজা কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় করে পূজায় সার্বিক নিরাপত্তা বিধান করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। পূজার নিরাপত্তায় আনসার-ভিডিপি, পুলিশ, র‍্যাব, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ড মোতায়েন থাকবে বলে একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে। 

নোয়াখালীর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রতন কৃষ্ণ পাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, নোয়াখালীর ৯ উপজেলা ১৮২টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। সরকারের দেওয়া নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়াও প্রতিটি মণ্ডপের পূজা কমিটি সার্বিক বিষয়ে নজরদারি করবে। পূজার সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান।

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, পূজার উৎসবে যেকোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা শক্ত হাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করবেন। ইতিমধ্যে পূজার নিরাপত্তায় আনসার-ভিডিপি, পুলিশ, র‍্যাব, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। 

প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক মোবাইল টিম থাকবে। পূজার সময় সেনাবাহিনীর টহল দল মাঠে থাকবেন।  আশা করছি আনন্দঘন পরিবেশেই দুর্গোৎসব উদযাপন হবে।

পরিদর্শনের সময় নোয়াখালী আর্মি ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিফাত আনোয়ার, র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালীর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) বিজয়া সেন, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আখীনূর জাহান নীলা, বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহসহ নোয়াখালী জেলা পুলিশ-জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

হাসিব আল আমিন/আরকে