ফেনীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে গত তিন দিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানে দাগনভূঞার রামানন্দুপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের অর্থ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন (৪০), ফেনী পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন ভূঞা (৩৭), পৌর ১৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন (৩৪), পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মো. মনিরুল হক (৪৯), ছাগলনাইয়া উপজেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক সোহরাব হোসেন শুভ (১৯), ফুলগাজীর উত্তর শ্রীপুর ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ কর্মী মো. ইয়াকুব বাবু (৩০), সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের অর্থ সম্পাদক মুরাদ হোসেন বাবু (২৫), ফাজিলপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বেলাল হোসেন (৭০), শর্শদি ইউনিয়নের জাহানপুরের আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম (৬০) এবং দাগনভূঞার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নূর মোহাম্মদ (৫০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, আন্দোলনে হামলা ও হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে ১০ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৫ জন ও পরেরদিন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৪ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তারেক চৌধুরী/এসকেডি