গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরু বলেছেন, মালিকরা আকাশচুম্বী লাভ করবে আর শ্রমিকরা না খেয়ে মরবে তা হবে না। কাজেই লাভের একটা সীমা থাকতে হবে। সীমাহীন লাভ করা যাবে না। প্রত্যেকটি কল কারখানায় বার্ষিক লভ্যাংশের একটা ন্যূনতম অংশ শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করতে হবে। শ্রমিক অধিকার পরিষদ সেই লক্ষ্যে কাজ করবে।    

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি ডিগ্রি কলেজ মাঠে শ্রমিক অধিকার পরিষদ আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের একটি বিরাট ভূমিকা ছিল। সাড়া বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের ছাত্ররা আগামীর নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। নেতৃত্ব তৈরির জায়গা সব বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র সংসদ। তাই অনতিবিলম্বে সব ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।

নুরুল হক নুর বলেন, কলকারখানায় শ্রমিকদের সমাবেশ সংগঠন করার অধিকার থাকতে হবে। অকারণে কোনো শ্রমিককে ছাঁটাই করা বেতন বৈষম্য মানা হবে না। পতিত সরকার গত ১৫ বছরে প্রায় ১৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। এ টাকা পাচার করেছে ফ্যাসিবাদের দোসর ব্যবসায়ী, আমলা, মাফিয়ারা। কাজেই আমার শ্রমিক ভাই বন্ধুদের প্রতি অনুরোধ থাকবে কারো উসকানিতে পা দিয়ে মিলকারখানায় কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করবেন না। কোনো ধরনের আন্দোলন করে শিল্পকারখানাকে বন্ধ করবেন না।

শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মোমেন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ, গণঅধিকার পরিষদ নেতা মান্নান দেওয়ান, হাজী মোবারক হোসেন, সাইদুর রহমান বিপ্লব, ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা মো. সোলায়মান প্রমুখ।

শিহাব খান/পিএইচ