পটুয়াখালী বাউফলের কালাইয়ায় বন্দরের সরকারি কবরস্থানের মধ্যে ঘর তুলে সেখানে মাদক বিক্রির আখড়া গড়ে তুলেছিলেন ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান ওরফে মিজান মোল্লা। সম্প্রতি উত্তেজিত জনতা সেটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। তবে, এ বিষয়ে প্রশাসন ওই ইউনিয়ন যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় ছাত্র-জনতা ও মুসল্লিরা।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) জুমার নামাজ শেষে তারা কালাইয়া বন্দর বড় জামে মসজিদ থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি বন্দরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কবরস্থানের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

পরে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবুল হাসান মুনসুর, কালাইয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও খতিব আবদুল হাই, সাংবাদিক মো. মাসুম সিদ্দিকি,  ব্যবসায়ী মাইনুল ইসলাম, শিক্ষার্থী মো. নাদিম রহমান, মো. মুরাদ ও ইমরান। 

বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কালাইয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিজান মোল্লা সরকারি কবরস্থানের মধ্যে অবৈধভাবে টিনশেড ঘর তুলে মাদকের আখড়া বানিয়েছেন। পবিত্র করবস্থানে বসে তিনি ও তার সহযোগীরা মাদক বিক্রি, সেবন ও জুয়ার আসরসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ড করতেন। মিজানের মাদক ব্যবসা পরিচালনা করতেন রেজাউল সরদার ওরফে রেজু ও তার স্ত্রী রুনু। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) করবস্থানের চারপাশে দেয়াল, ঘাটলা ও মসজিদ নির্মাণ এবং মাদকের আখড়া উচ্ছেদের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সেনা ক্যাম্প কমান্ডার ও ওসির  কাছে গণস্বাক্ষরসহ লিখিত আবেদন দেয়া হয়েছে। তবুও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ কারণে আমরা বিক্ষোভ মিছিল করছি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজী বলেন, মাদকের আখড়া উচ্ছেদ ও কবরস্থান উন্নয়নে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আরিফুল ইসলাম সাগর/কেএ