কুড়িগ্রামে অন্যান্য নদ-নদীর ভাঙন কিছুটা কমলেও ধরলা নদীর অব্যাহত ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতোমধ্যে জেলার উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের শতাধিক পরিবারের বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে এখনও অনেক পরিবার। এছাড়াও খুদিরকুটি বাজার এলাকার একমাত্র কমিউনিটি ক্লিনিক ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ধরলা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে ওই এলাকার একমাত্র আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়টিও।

এদিকে ভাঙন রোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে ভুক্তভোগীদের দাবি নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে। অপরদিকে ভাঙনের শিকার হয়ে মানবেতর দিন পার করছেন ভাঙনে ভিটেমাটি হারা মানুষ।

বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা নুর আলম বলেন, নদীর ভাঙনে আমাদের ইউনিয়নটি শেষ। আমরা ত্রাণ চাই না, নদী ভাঙনের স্থায়ী সমাধান চাই। ইতোমধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নদীতে চলে গেছে। এ ইউনিয়নের একমাত্র আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়টিও ভাঙনের মুখে রয়েছে। ধরলার অব্যাহত ভাঙনে দিশেহারা এখানকার মানুষ।

উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতাউর রহমান জানান, বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে অব্যাহত রয়েছে ত্রাণ তৎপরতা। ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর তালিকা পেয়েছি, পদক্ষেপ নেওয়া হবে পুনর্বাসনের।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, ধরলা নদীর ভাঙন ঠেকাতে বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ব্যাপারি পাড়া এলাকায় আমরা বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছি। আশা করছি সেখানকার আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়টি রক্ষা করতে পারব। এছাড়াও জেলার আরও ৪-৫টি স্পষ্টে আমাদের কাজ চলমান রয়েছে।

মো. জুয়েল রানা/এসএসএইচ