বরগুনায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনকে প্রধান আসামি করে ১০৫ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনি ও বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় এ মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়াও সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য নাদিরা সুলতানার জ্যেষ্ঠ কন্যা ফারজানা সবুর রুমকিকে দ্বিতীয় আসামি করে আরও তিনশ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার মানিকখালী গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে মো. সোলায়মান বাদী হয়ে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। তিনি ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম মনির বড় ভাইয়ের ছেলে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজনৈতিক সভা ও সমাবেশ করার লক্ষ্যে ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বর্তমান বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনি পাথরঘাটার উদ্দেশে রওনা হন। পরে ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পাথরঘাটার রায়হানপুর ইউনিয়নের সিএন্ডবি বাজার নামক এলাকায় গাড়ি নিয়ে পৌঁছালে তার ওপর ও সঙ্গে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান অভিযুক্তরা। এসময় তার গাড়ি বহরে থাকা মোটরসাইকেল, গাড়ি ভাঙচুরসহ ও অগ্নিসংযোগও করা হয়। পরে নুরুল ইসলাম মনিকে আহত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। এছাড়াও তার বহরে থাকা আহতদের দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

আরও উল্লেখ করা হয়, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে ওই সময়ের সংসদ সদস্য হাচানুর রহমান রিমনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে এবং সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য নাদিরা সুলতানার কন্যা ফারজানা সবুর রুমকির পরামর্শ, অর্থায়ন ও নির্দেশনায় এ হামলা চালানো হয়। তবে ওই সময়ে ভুক্তভোগীরা পাথরঘাটা থানায় মামলা করতে গেলে তা গ্রহণ না করায় গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর সব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে দীর্ঘ বিলম্বের পর এ মামলা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ মুবিন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ১০৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুই থেকে তিনশ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মামলার এফআইআর গ্রহণের জন্য আদালত পাথরঘাটা থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মো. আব্দুল আলীম/এসএসএইচ