কুমিল্লায় শ্বশুরের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে অপহরণের অভিযোগ করেছেন নূরুল হাসান প্রভাত (২৬) নামে এক যুবক। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা নগরীর একটি হল রুমে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি। এ সময় স্ত্রীকে দ্রুত উদ্ধার করে তার কাছে ফেরত না দিলে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেন তিনি।

নূরুল হাসান প্রভাত জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের হিঙ্গুলা গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, একই এলাকার এনামুল হক ভূঁইয়া ওরফে দুলালের মেয়ে তানজিন সুলতানা নিলার (২১) সঙ্গে তার আমার পাঁচ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ৩০ এপ্রিল আমরা বিয়ে করি। এরই মধ্যে নিলা দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। কিন্তু নিলার সঙ্গে আমার বিয়ে মেনে নিতে পারেনি তার বাবা ও পরিবারের লোকজন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন নিলার বাবা-ভাইসহ সশস্ত্র এক দল সন্ত্রাসী আমার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায় এবং আমার অসুস্থ বাবা নুরুল আমিন ও মাসহ পরিবারের লোকজনকে মারধর করে। এসময় তারা বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিলাকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে যায়। এ ঘটনায় গত ২৮ আগস্ট কুমিল্লার আদালতে এনামুল হক ভূঁইয়াসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করেছি। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। এরই মধ্যে মামলার ৩ নম্বর আসামি স্থানীয় ইউপির সাবেক মেম্বার সজিবকে যৌথবাহিনী বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে।

সংবাদ সম্মেলনে নূরুল হাসান প্রভাত বলেন, আমার বিবাহিত স্ত্রী এখনও উদ্ধার হয়নি। আসামিদের নির্যাতনে সে বেঁচে আছে কি না তাও জানা যায়নি। এছাড়া মামলার আসামিরা আমার পরিবারের লোকজনকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে শ্বশুরের কব্জা থেকে আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করে আমার কাছে ফেরত না দেওয়া হয় তাহলে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে জনসম্মুখে আমি আত্মহত্যা করব।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত এনামুল হক ভূঁইয়া দুলালের (নিলার বাবা) মন্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত সেলফোন কল দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি সেটি তার দোকানের এক কর্মচারীকে দিয়ে  রিসিভ করিয়ে অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই বলে জানান।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর কুমিল্লার পরিদর্শক আবু বকর বলেন, মামলার পর ভিকটিম নিলাকে উদ্ধার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা তাকে উদ্ধার করে আদালতে হাজির করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

আরিফ আজগর/এসকেডি