চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আন্দিপুরে আলমগীর হোসেন (৪০) নামে এক ভ্যান চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) সকালে উপজেলার চিৎলা-রুইতনপুর গ্রামের মাঝে ভাইমারা খালের মধ্যে থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

নিহতের পরিবারের দাবি, গত দুদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন আলমগীর। ভ্যানটি ছিনিয়ে নিতেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত আলমগীর হোসেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের ভালাইপুর গ্রামের মাঝেরপাড়ার মৃত. আব্দুর সাত্তারের ছেলে। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।

পুলিশ জানায়, গত ২ অক্টোবর ভালাইপুরের আশপাশ এলাকা অর্থাৎ চুয়াডাঙ্গা সদরের মধ্যে আলমগীরকে দেখা গিয়েছিল। শুক্রবার একটি ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, তার গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা শেষে ডোবায় ফেলে দেওয়া হয় মরদেহটি। তার ভ্যানটি ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। ইতোমধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, সিআইডি, পিবিআইসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অভিযুক্তদের ধরতে এবং হত্যার রহস্য উদঘাটনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম কাজ করছে। দ্রুত হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২ অক্টোবর সন্ধ্যার পর ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন আলমগীর হোসেন। রাতে বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করেও পাননি। শুক্রবার ভাইমারা খালের পাশে আলমগীর স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। পরে পুলিশকে জানালে খাল থেকে আলমগীরের মরদেহ উদ্ধার করে। তার শরীর ও গলায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে তার ভ্যানটি পাওয়া যায়নি।

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ গণি মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটি হত্যাকাণ্ড। গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর ডোবার মধ্যে মরদেহ ফেলে দেওয়া হয়। মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রহস্য উদঘাটন ও অভিযুক্তদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম কাজ করছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান বলেন, আলমগীর হোসেন বেশিরভাগ সময় রাতে ভাড়ায় ভ্যান চালাতেন। আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি গত ২ তারিখ রাতে ভালাইপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে দুর্বৃত্তরা তার ভ্যানটি ভাড়া করে আলমডাঙ্গার দিকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আলমগীরের আর দেখা মেলেনি, সেই সঙ্গে তার ভ্যানটিরও খোঁজ মেলেনি। এতেই বোঝা যায় তার ভ্যানটি ছিনতাই করে আলমগীরকে হত্যা করা হয়েছে। দ্রুত অভিযুক্তদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

আফজালুল হক/এসকেডি