পরীক্ষিত দুর্নীতিবাজ, খুনি ও জুলুমবাজদের ক্ষমতায় নেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। 

তিনি বলেন, ৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও বিগত সরকারের আমলে আমরা স্বাধীন দেশে ছিলাম পরাধীন। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পরে আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। তাই এ অর্জন আমাদের ধরে রাখতে হবে। 

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদ চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চরমোনাই পীর এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছরে যারা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর করে দিয়ে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দেশকে দেউলিয়া করে ফেলেছে এবং সর্বত্র জুলুম-নির্যাতনের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল সেই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে। 

চরমোনাই পীর বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদেরকে দেশের মালিক আর জনগণকে তাদের দাস মনে করেছে। তাদের অপশাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেই খুন, গুম করেছে। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে আছে জানিয়ে জনগণকে মিথ্যে গল্প শুনিয়েছে। অথচ দেশের কোনো ব্যাংকে টাকা নেই। সব টাকা তারা বিদেশে পাচার করে নিয়েছে। বৈদেশিক ঋণের চাপে দেশের অগ্রযাত্রা থমকে যাচ্ছে। তাদের সকল অপকর্মের বিচার থেকে বাঁচতেই তারা পালিয়ে গেছে।

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকার জন্য বাংলাদেশের সব রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে জেলে নিয়ে গিয়ে মানুষকে নির্যাতন করেছেন। বাংলাদেশের মানুষকে একটা ভীতির রাজত্বে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাই তিনি যখন ছাত্র, শ্রমিক, জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পালিয়ে গেছেন, তখন এ দেশের মানুষ হাফ ছেড়ে বেঁচেছে।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ক্ষমতা মানুষকে দুর্নীতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। অসীম ক্ষমতা মানুষকে নিশ্চিতভাবে চরম দুর্নীতিগ্রস্ত করে। আমাদের সংবিধান সরকারকে অসীম ক্ষমতা দেয়। এ কারণেই বাংলাদেশের যে কোনো সরকারই দানবে পরিণত হয়।  

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলা উত্তরের সভাপতি মাওলানা নজীর আহমদরর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশের উদ্বোধন করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মাহমুদুর রহমান।

গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা ফিরোজ আলমের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী, মাওলানা খলিলুর রহমান, ছাত্রনেতা নুরুল বশর আজিজী, মুফতি মুহা. আসেম, মাওলানা আবুল কাশেম আমিনী, জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা ইউসুফ ভূইয়া, সেক্রেটারি মাওলানা আলাউদ্দিন হারুন, মাওলানা কামাল উদ্দিন, কাউসার আহমাদ, মুদ্দাচ্ছির হোসাইন, নুরুদ্দিন আমানতপুরী, ইকবাল হোসাইন, দিদার হোসাইন, মু. হাবিবুর রহমান প্রমুখ। 

হাসিব আল আমিন/আরএআর