সিলেটে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক হযরত আলীকে (৩৫) হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক (৪র্থ আদালত) শায়লা শারমিন এই রায় দেন। 

ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি আব্দুস ছত্তার ।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার গোছহাট গ্রামের শহিদুল ইসলাম (২১), দক্ষিণ সুনামগঞ্জের তাইকাপন এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে সুমন আহমদ (১৯), একই থানার বুরুমপুরের ফাজিল বারীর শিপু মিয়া (১৯), হাজী মুসুক মিয়ার ছেলে জাকারিয়া ওরফে মুন্না ও হরমুজ আলীর ছেলে রুহুল আমীন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পেশায় অটোরিকশাচালক হযরত আলী সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের আবদুস শহীদের ছেলে। তিনি সিলেটের সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আলমপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। ২০১৪ সালের ১৭ আগস্ট রাত ৮টায় হযরত আলীকে নিয়ে সিলেট থেকে বিয়ানীবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় যাত্রী বেশে থাকা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা। পরে তারা বিয়ানীবাজার মাথিউরা নির্জন এলাকায় নিয়ে তাকে উপুর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে রাস্তার পার্শ্ববর্তী ডোবায় ফেলে রেখে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় হযরত আলীর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বিয়ানীবাজার সদর এলাকা থেকে ছিনতাইকারীদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপরের দিন ১৮ আগস্ট হযরত আলীর ভাই শুক্কুর আলী বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ ১০ বছরে মামলার বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার পাঁচজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মামলার বাদী শুক্কুর আলী জানান, দীর্ঘ ১০ বছর পর আমার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার রায় হয়েছে। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। এই রায়ে আমি সন্তোষ প্রকাশ করছি আদালতের প্রতি। আমি দাবি জানাবো অবিলম্বে যেন এই রায় কার্যকর করা হয়। 

মাসুদ আহমদ রনি/আরএআর