নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে উৎসবমুখরভাবে দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে একটি যৌথসভার আয়োজন করেছে বরগুনা সদর উপজেলা বিএনপি। এ সময় মন্দিরের সার্বিক নিরাপত্তায় প্রতিটি পূজামণ্ডপে পূজা শুরুর দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত উপজেলা বিএনপির ২১ সদস্য বিশিষ্ট আলাদা আলাদা কমিটি দায়িত্ব পালন করবে বলে জানানো হয়।

বুধবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বরগুনা পৌরসভার বন্দর ক্লাবে আয়োজিত এক যৌথ সভায় সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তালিমুল ইসলাম পলাশ এ ঘোষণা দেন।

সভায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক হাওলাদারের সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্যে সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তালিমুল ইসলাম পলাশ উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা গণতন্ত্র ও মানুষ হত্যাকারী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে আন্দোলন আরও বেগবান করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়েছি। তবে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে গেলেও তার দোসররা বাংলাদেশের সকল স্থানে বহাল তবিয়তে রয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করে, আগামী নির্বাচনকে টার্গেট করে বিএনপিকে যাতে ভরাডুবি করাতে পারে এজন্য দেশে বিদেশে একটি চক্র কাজ করছে। এ অবস্থায় ওই চক্রের সদস্যরা পূজাকে কেন্দ্র করে মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে সে দায় বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাবে। এ কারণে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে পূজা শুরুর দিন থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে জেলা-উপজেলা, এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বরগুনায় যে-সব জায়গায় পূজামণ্ডপ রয়েছে সেসব জায়গায় হিন্দুধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের সকল নেতাকর্মীদের সব জায়গায় বিচরণ থাকতে হবে। যাতে হিন্দুদের সব থেকে বড় এ উৎসবে কোনো প্রকার বাধা-বিঘ্ন ঘটাতে না পারে। আমরা বিশ্বাস করি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার এবং দেশ আমাদের সকলের। আমরা সব ধর্মের মানুষ সহাবস্থানে থেকে গণতন্ত্রের যে ধারা চালু হয়েছে তা আমরা অব্যাহত রাখব।

এ সময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক হাওলাদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুম বিল্লাহ, সদস্য সচিব বশির পঞ্চায়েত, যুবদলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সুমন, সদস্য সচিব লিংকন পারভেজ ও শিমুল, ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলামসহ বিএনপির সদর উপজেলার বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মো. আব্দুল আলীম/এএমকে