ফেনীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার (২ অক্টোবর) রাতে ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানে সোনাগাজী থেকে ২ জন, পরশুরাম থেকে ২ জন, দাগনভূঞা থেকে ৪ জন, ছাগলনাইয়া থেকে ২ জন, ফুলগাজী থেকে ৪ জন এবং ফেনী সদরের বালিগাঁওয়ের এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে সোনাগাজী থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নূর আলম মিষ্টার (৪৮) ও উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুন্না আজিজ (৩০), পরশুরাম থেকে পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম মজুমদার (৪২) ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আলী (২১), দাগনভূঞা থেকে পৌর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জিয়া উদ্দিন মাসুদ (৪৮), পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম রাজীব (৩৯), রাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল খায়ের পাটোয়ারী (৬৩) ও পৌর ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমুন ইসলাম প্রকাশ রাহিম (২২), ছাগলনাইয়া থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. সোহাগ (২৯) ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেন রুবেল (৩৩), ফুলগাজী থেকে আনন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মজিবুল হক (৬৬), আমজাদহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জব্বার (৬০), মুন্সিরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল মোতালেব ভূঁইয়া (৫৪), উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী নুর আলম (৫৪) এবং ফেনী সদর থেকে বালিগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মোহাম্মদ মাহফুজ মিয়াকে (৪৬) গ্রেপ্তার করা হয়।

ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, ১১ জনকে মহিপালে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় ও ৪ জনকে আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাদের মধ্যে নূর আলম চিকিৎসার জন্য পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে রয়েছেন। অন্যদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফেনীর মহিপালে গণহত্যার ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় ৮টি হত্যা ও ৩টি হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে।

তারেক চৌধুরী/এমজেইউ