চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেছেন, মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান চলাকালে কোনো জেলেকে নদীতে নামতে দেওয়া হবে না। অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় এবারের অভিযান কঠোরভাবে পরিচালনা করা হবে। বিষয়টি আমরা কঠোরভাবে মনিটরিং করব। যদি কেউ আইন অমান্য করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে (১৩ অক্টোবর-৩ নভেম্বর) ২২ দিন চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে “মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৪’’ বাস্তবায়নে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, এই সময়টাতে যতগুলো বরফ কল আছে, তা বন্ধ থাকবে। লোকাল যে বাজারগুলোতে অবৈধ ইলিশ বিক্রি হয়, সে বাজারগুলো আমরা মনিটরিং করব। শুধুমাত্র বিক্রেতা নয়, রাস্তায় যদি ক্রেতাদের কাছ থেকেও ইলিশ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। টাস্কফোর্সের সাথে সাথে সেনাবাহিনী টিমও অবৈধভাবে ইলিশ বিক্রির ঘাটগুলোতে যে যায়, সেই অনুরোধ করব। ২৪ ঘণ্টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, কোনো জেলে বা দুস্কৃতকারীরা প্রশাসনকে তুচ্ছ করবে, তা সম্ভব নয়। যদি করে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনপ্রতিনিধিরা বা অন্য কেউ সহায়তা করুক বা না করুক, আমরা মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করব। যেসব নদীর শাখা মুখ রয়েছে, সেসব স্থানে কঠোর নজরদারি করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কোনো বৈধ বালুমহল নেই। ইতোমধ্যে আমরা কয়েকজনকে আটক করেছি। যদি কেউ বালু ওঠাতে যায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর থাকব। কোনোভাবেই নদীতে ড্রেজার চলবে না। দাদন ব্যবসায়ী, বরফ কল ব্যবসায়ী, মৎস্য ব্যবসায়ীদের সাথে একটু মতবিনিময় করার ব্যবস্থা করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার ফজলুল হক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  সাখাওয়াত জামিল সৈকত, নৌ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ, সমাজসেবা কর্মকর্তা (রেজি.) মনিরুল ইসলাম, মৎস্যজীবী নেতা তছলিম ব্যাপারী প্রমুখ।

আনোয়ারুল হক/কেএ