সাংবাদিক একরামুল ইসলাম/ ছবি : সংগৃহীত

রংপুরের পীরগাছায় সাংবাদিক একরামুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

বুধবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীরগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন সাংবাদিক একরামুল ইসলাম। বাদী একরামুল ইসলাম উপজেলার অনন্তরাম মাছুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার পীরগাছা উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।

মামলায় হামলাকারী রায়হান মিয়ার নাম উল্লেখসহ একজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আসামি রায়হান মিয়া উপজেলার বড়পানসিয়া সর্দার পাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। তিনি পীরগাছা সদর ইউনিয়নের জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ‘হিন্দু ঐক্যের’ একটি খবর সংগ্রহ করছিলেন সাংবাদিক একরামুল ইসলাম। খবর সংগ্রহ শেষে অজ্ঞাত এক যুবকের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা ক্যান্টিনের পেছনে তাকে ডেকে নিয়ে যান রায়হান। তার ডাকে সাড়া দিয়ে সেখানে গেলে রায়হান মিয়া বলে উঠে ‘আপনি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির নামে সংবাদ করেছেন কেন? প্রতি উত্তরে একরামুল ইসলাম জানান, আমি অভিযোগের ভিত্তিতে নিউজ করেছি। এ কথা বলার সাথে সাথে সন্ত্রাসী কায়দায় রায়হান মিয়া সাংবাদিক একরামুলের ওপর হামলা করে আহত করেন। পরে আহত সাংবাদিক একরামুল স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

সাংবাদিক একরামুল ইসলাম জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর যুগান্তর পত্রিকায় ‘পীরগাছায় খাদ্যবান্ধব চাল বিতরণ নিয়ে সংশয়, বিএনপি নেতাদের পাহারা’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ওই খবরের জের ধরে খাদ্য অফিস পাহারাদাররা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন। এরই এক পর্যায়ে সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ডেকে নিয়ে মারধর করেন সন্ত্রাসী রায়হান।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আল আমিন বুলেট জানান, রায়হান পীরগাছা সদর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

পীরগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত আসামি গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।  

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এসকেডি