নাটোর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া গ্রামের সেই চাল কলের এক মাসের বিদ্যুৎ বিল ১ কোটি ৫২ লাখ ৫১ হাজার ৩১১ টাকা সংশোধন করে ১৬ হাজার ৬২০ টাকা করেছে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১। এ ঘটনায় বিলিং সহকারী জেসমিন আক্তার মেরিনাকে শোকজ করেছে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (২ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (রাজস্ব) শাহ্ মো. মোস্তফা কামাল। এর আগে ভুতুড়ে এই বিদ্যুৎ বিলটি নিয়ে ঢাকা পোস্টসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

শাহ্ মো. মোস্তফা কামাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিলিং সহকারী বিল পোস্টিং করতে গিয়ে টাইপিংয়ে ভুল করেছেন। সেভাবেই প্রিন্ট হয়ে যায়। পরবর্তীতে বিল বিতরণকারী চেক না করে বিলটি গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেন। এ রকম ভুল আমাদের সাধারণত হয় না। তবে এই ভুলটাকে আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখেছি। সংশোধিত বিল আজকে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বিলিং সহকারী জেসমিন আক্তার মেরিনাকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাবের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, চালকল হিসেবে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণ করলেও দেশের বৃহত্তম প্রধান ঔষুধি গ্রাম লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়ার ভেষজ চাষিদের উৎপাদিত ভেষজ পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ (গুড়া) করা হতো মো.জালাল উদ্দিন চালকলটিতে। গত এক বছরের হিসাব মতে, গড়ে প্রতিমাসে এই মিলে বিদ্যুৎ বিল আসে ১৫ হাজার টাকা। সোমবার মিলে এসে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ দেখে হতবাক হয়ে যান জালাল উদ্দিন। বিলে গত ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১ কোটি ৫২লাখ ৫১ হাজার ৩১১ টাকা বিল পরিশোধ করতে বলা হয়। ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

গোলাম রাব্বানী/এসকেডি