মেহেরপুরে ভেজাল গুড় বিক্রির অপরাধে চার ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত।

বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলের দিকে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক বেগম শারমিন নাহার এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, গাংনী উপজেলার বামন্দী বাজার এলাকার আবু বক্করের ছেলে ও মেসার্স ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকার হাবিবুর রহমান, আলিমুদ্দিনের ছেলে আবু বক্কর, গাংনী উপজেলার রামনগর গ্রামের আবু মণ্ডলের ছেলে দুলাল হোসেন ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা দৌলতখালী গ্রামের হেরেজ মণ্ডলের ছেলে জিয়াউর রহমান জিয়া।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেহেরপুর সদর উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মেহেরপুর শহরের ওয়াবদা সড়কে ও শহরের স্টেডিয়ামপাড়া এলাকার গুড়ের আড়তে পৃথক অভিযান চালিয়ে উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদবিহীন ৪০টিন গুড জব্দ করেন। পরে এ ঘটনায় ওই সময়ে বিশুদ্ধ খাদ্য আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়, এবং জব্দ করা গুড় রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকায় পরীক্ষা নিরীক্ষা পর ওই গুড়ে ভেজাল প্রমাণিত হয়েছে।

এ ঘটনায় বিজ্ঞ আদালত বিশুদ্ধ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ৩/৪ এর ২৬ ধারায় দোষ স্বীকার করায় গুড় ব্যবসায়ী আবু বক্করকে ১ বছর কারাদণ্ড এবং ৩ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড ও একই আইনের ৪১ ধারায় ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের জেল, হাবিবুর রহমানকে ২/২৪ এর ২৬ ধারায় ১ বছরের জেল, ৩ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের জেল ও ৪১ ধারায় ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের জেল, আবু বক্করকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ বছরের জেল ও ৪১ ধারায় ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের জেল এবং দুলালকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ বছরের জেল ও ৪১ ধারায় ১ লাখ টাকা জরিমানা ৬ মাসের জেল দেওয়া হয়।

এছাড়া অপর আসামি জিয়াউর রহমান জিয়াকে একই আইনের ২৬ ধারায় ৩ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের জেল ও ৪৩ ধারায় ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসে জেল দেওয়া হয়েছে।

এ সময় মেহেরপুর সদর উপজেলা স্যানেটারি অফিসার তরিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

আকতারুজ্জামান/এসকেডি