চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মর্তুজাপুরে রাতের আধারে নৈশপ্রহরীকে বেঁধে খামার থেকে ৮টি গরু-ছাগল লুটের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক লুট হওয়া একটি গাভি, দুটি ষাঁড় ও একটি ছাগল উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সিএন্ডবিপাড়ার মৃত মোক্তার হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান ওরফে পল্টু (৩৩), পৌর কলেজপাড়ার সুরত আলীর ছেলে আলিম হোসেন (২৮), সাতগাড়ি গ্রামের পুরাতনপাড়ার মৃত গহর আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ (৫৯) ও মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের ঝাউবাড়ীয়া গ্রামের মানিক খানের ছেলে হাসমত আলী খান (৪০)।

এর আগে, ২৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদরের মর্তুজাপুর গ্রামে আলতাফ হোসেনের ইটভাটায় কয়েকজন ডাকাত নৈশপ্রহরী মখছেদ মন্ডলকে (৬০) গামছা দিয়ে হাত-পা বেঁধে মারপিট করে পার্শ্ববর্তী মেহগনি গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। এরপর খামার থেকে চারটি গরু ও চারটি ছাগল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এরমধ্যে একটি ছাগল জবাই করে পার্শ্ববর্তী মাঠে ফেলে রেখে যায়। এদিনই খামারের মালিক আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনার পর সদর থানার পুলিশ ডাকাতদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চালায়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান। তার সঙ্গে ছিলেন সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) হোসেন আলী, উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামান, এসআই (শিক্ষানবিশ) বাবলু খান, সদরের সিন্দুরিয়া পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) বায়োজিদ হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিজস্ব সোর্স ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু থানাধীন সোনাতনপুর গ্রাম থেকে লুট হওয়া একটি গাভি, দুটি ষাঁড় ও একটি ছাগল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে, দ্রুততার সঙ্গে ডাকাত সদস্যদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার ও লুট হওয়া গরু-ছাগল উদ্ধার করায় জেলা পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মামলার বাদী খামারিসহ স্থানীয়রা। জেলা পুলিশের এ তৎপরতাকে সামগ্রিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য ইতিবাচক মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আফজালুল হক/এমজেইউ