গুলিবিদ্ধ আরিফ উল্লাহ

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দক্ষিণ বোরোচর এলাকায় মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আরিফ উল্লাহ সরকার (৫০) নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া কয়েকজন আহত হয়েছেন।   

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দুর্বৃত্তরা বালু উত্তোলন করতে গেলে স্থানীয় লোকজন বাধা দেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয় এবং আরিফ উল্লাহসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। গুলিবিদ্ধ আরিফ উল্লাহকে ঘটনার পরপরই চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য আরিফ উল্লাহকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। গুলিবিদ্ধ আরিফ উল্লাহ সরকার দক্ষিণ বোরচর এলাকার ইদ্রিস আলী সরকারের ছেলে। তিনি পরিবহন শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক রফিক হাসান ফয়সাল বলেন, আরিফ উল্লাহর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছররা গুলি রয়েছে। এ ছাড়া পরীক্ষায় তার খাদ্যনালিতে ছিদ্র পাওয়া গেছে।

গুলিবিদ্ধ আরিফ উল্লাহর মেয়ে তানজিলা আক্তার বলেন, বাবার পেটে অনেকগুলো গুলি লেগেছে। এখন কীভাবে চিকিৎসা করাব? বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান।

স্থানীয়রা জানান, মেঘনা নদীর বোরোচর এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত রাতের আধারে বালু উত্তোলনের চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন বালু উত্তোলনে বাধা দিতে গিয়ে হামলার শিকার হন।

এ বিষয়ে এখলাছপুর ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম মুন্না ঢালী বলেন, আমি জেনেছি আরিফ গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তার পরিবারের পাশে আছি। আগে আহতের চিকিৎসা করাই। তারপর বাকি বিষয়গুলো দেখা যাবে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

মতলব উত্তর মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক কামরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসন, কোস্ট গার্ড ও নৌপুলিশের যৌথ অভিযানে গত ১০ সেপ্টেম্বর একই এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে বাল্কহেড ও ড্রেজারসহ ৩৫ জন এবং ২৫ সেপ্টেম্বর অপর অভিযানে ২৮ জনকে আটক হয়। এদের বিরুদ্ধে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে নৌপুলিশ পৃথক দুটি মামলা করে।

আনোয়ারুল হক/এমজেইউ