কুড়িগ্রামের তিস্তা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন কিছুটা কমলেও ধরলা নদীতে তা অব্যাহত আছে। এছাড়া গত এক সপ্তাহের নদ-নদীর ভাঙনে অসংখ্য পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। নদীতে চলে গেছে কয়েক একর ফসলি জমিও। সব হারিয়ে অনেকে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করলেও কোনো সহায়তা পাননি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

এদিকে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর, ব্যাপারি পাড়া, সরকার পাড়া ও মাঝি পাড়া এলাকায় ধরলা নদীর ৫-৬ কিলোমিটার এলাকার বাম তীরে ভাঙন অব্যাহত আছে। হুমকিতে থাকা পরিবারগুলো তাদের বাড়ি-ঘর নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়াও এ ইউনিয়নের একটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের একাংশ ধরলা নদীতে চলে গেছে।

বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ব্যাপারি পাড়া এলাকার বাসিন্দা আবু মিয়া বলেন, আমার গ্রামটি অনেক পুরাতন। কয়েকদিনের ভাঙনে গ্রামটির কিছু অংশ ধরলা নদীতে চলে গেছে। সবকিছু হারিয়ে অনেক কষ্টে আছি। সহযোগিতা তো দূরের কথা, কেউ দেখতেও আসনি।

বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. বাবলু মিয়া বলেন, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে আমার ইউনিয়নের তিন ভাগের দুই ভাগ নদীতে চলে গেছে। গত ১০-১১ বছর ধরেই নদী ভাঙছে। এখানে স্থানীয়ভাবে ভাঙন রোধ করা না গেলে কোনো একদিন হয়ত পুরো ইউনিয়নটি নদীতে চলে যাবে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, সরকারি স্থাপনা ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভাঙন রোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে ৪-৫টি স্পটে আমাদের কাজ চলছে।

জুয়েল রানা/এফআরএস