ফরিদপুরে ৪৯ ঘণ্টা পর সব রুটে ফের বাস চলাচল শুরু হয়েছে। বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ৭টা থেকে ফরিদপুর নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে সব রুটে বাস ছেড়ে গেছে। 

গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা থেকে ঢাকাসহ সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) শুধু ফরিদপুর-ঢাকা পথে বাস চলাচল করে।

সোমবার দুপুরে জেলার নগরকান্দা উপজেলায় বাস শ্রমিকদের হাতে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক মারধরের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এর প্রতিবাদে সিএনজি-মাহেন্দ্র চালকরা তিনটি বাসে ভাঙচুর করেন। এ প্রেক্ষাপটে ওইদিন বিকেল ৫টা থেকে মহাসড়কে তিনচাকা বিশিষ্ট যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে বাস ধর্মঘট শুরু করে ফরিদপুরের পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতি।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার সম্মেলন কক্ষে এ সংকট নিরসনে পরিবহন, মালিক, শ্রমিক, সিএনজি ও মাহেন্দ্র চালক সমিতির একটি সভা হয়। ওই সভায় বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল রাতের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে হাইকোর্ট যে নির্দেশনা দিয়েছেন সে নির্দেশনা অনুযায়ী মহাসড়ক পরিচালিত হবে। সে অনুযায়ী মহাসড়কে সিএনজি-মাহেন্দ্রসহ তিন চাকার কোনো যন্ত্রযান চলতে পারবে না।

ফরিদপুর বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, মহাসড়ক তিন চাকার যান চলার জায়গা না। এখানে এসব ছোট গাড়ি দুর্ঘটনাও বাড়ায়। মহাসড়কে ছোট ছোট গাড়ি না চললে দুর্ঘটনাও অনেকটা কমে আসবে। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের ট্রাফিক পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাতে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা সিএনজি ও মাহেন্দ্র চালকরা মেনে নিয়েছেন। এ নিয়ম মেনে তারা মহাসড়ক সংলগ্ন ফিডার রোডে যানবাহন চলাচল করার প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়টি কেউ লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ট্রাফিক পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, বুধবার সকাল ৭টা থেকে ফরিদপুরে আভ্যন্তরীণ ও আন্তঃজেলা রুটে ফের বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

জহির হোসেন/জেডএস