ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাফী বিন কবিরের ব্যবহৃত সরকারি মুঠোফোন নম্বর ক্লোন করে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতে নির্দেশ দিয়েছে প্রতারকচক্র।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে বিষয়টি টের পান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির।

এ ঘটনায় তিনি মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। পাশাপাশি ইউএনও ও সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ জেলা প্রশাসন মিডিয়া সেলে বিকেল ৩টা ৫৪ মিনিটের দিকে তার মুঠোফোন নম্বরটি ক্লোন করার ঘটনা জানান।

জেলা মিডিয়া সেলে নগরকান্দার ইউএনও এ সংক্রান্ত বার্তা দিয়ে বলেন, আমার নম্বর ক্লোন করা হয়েছে। এ বিষয়ে সকলকে সাবধানতা অবলম্বনের অনুরোধ জানাচ্ছি। সন্দেহজনক কোনো ফোন এলে সেটিকে রিপোর্ট করুন।

উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ (মঙ্গলবার) দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ইউএনওর নম্বর থেকে একটি ফোন আসে। আমাকে বলা হয়, আপনি কোথায়, এখানে বড় ব্যবসায়ী আছেন কতজন। সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী কে। আমি এক ব্যবসায়ীর নাম জানালে ওই ব্যবসায়ীর কাছে থেকে ২ লাখ টাকা এনে তাকে বিকেল ৪টার মধ্যে দেওয়ার কথা জানান।

তিনি বলেন, ইউএনওর সঙ্গে পরে কথা হলে বিষয়টি টের পাই, এটা প্রতারকচক্রের কাজ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে তিনি নিজ কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। এমন সময় তার সরকারি মুঠোফোনে কল করে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাকে জানান, স্যার আপনার নম্বর থেকে আমাকে ফোন করে আপনার পরিচয় দিয়ে ডিলার ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতে বলা হয়েছে। এক ব্যবসায়ীর নাম দিয়ে বিকেল ৪টার ভেতর তার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে আপনাকে দিতে বলা হয়েছে।

ইউএনও আরও বলেন, এ ঘটনায় আমি টের পাই, আমার নম্বর ক্লোন করা হয়েছে। বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসককে জানাই। পরে নগরকান্দা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। পাশাপাশি এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছি।

নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফর আলী বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি মুঠোফোন ক্লোনের বিষয়ে তিনি থানার সাধারণ ডায়েরি করেছেন। পুলিশের আইটি দল বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। প্রতারকচক্রকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

জহির হোসেন/এএমকে