ভোলায় মো. পাভেল ওরফে এসডি পাভেল (২৪) নামের এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শিকলে বাঁধা অবস্থায় মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চর ছিফলী গ্রামের রাঁড়ি বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই যুবক একই গ্রামের মো. মোতাছিন রাঁড়ির ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মৃত পাভেল ফার্নিচার মিস্ত্রি ছিলেন। প্রায় ছয় বছর ধরে সে মানসিক ভারসাম্যহীন। তাকে তার পরিবার শিকলে বেঁধে রাখতেন, সব সময়ই তার হাত-পায়ে শিকল থাকতো। হাত-পা শিকলে বাঁধা অবস্থায় মঙ্গলবার সকালেও পাভেল তাদের বাড়ির সামনে বাজারে এসেছিলেন, পরে আবার চলে গেছেন। এরপর দুপুরের দিকে খবর পাই, পাভেল মারা গেছেন। তবে কীভাবে মারা গেছেন, সে বিষয়ে আমরা জানি না।

এ বিষয়ে পাভেলের বাবা মোতাছিন রাঁড়ি বলেন, পাভেলের মাথায় সমস্যা ছিল, প্রায় ছয় বছর ধরে সে মানসিক ভারসাম্যহীন। সুযোগ পেলেই মানুষের ওপর হামলা করতো সে, তাই পাভেলকে শিকলে বেঁধে রাখতাম।

ওই যুবকের বাবা আরও বলেন, আজ সকালে হাত-পায়ে শিকল পড়ানো অবস্থায় পাভেল দোকানের সামনে এসেছিলেন। পরে আমি ওকে বাড়িতে নিয়ে বসতঘরের পাশে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখেন, বাড়ি থেকে চলে আসি। কতক্ষণ পড়ে বাড়িতে গিয়ে দেখি পাভেল উপুড় হয়ে পড়ে আছে, নাড়াচাড়া দিয়ে দেখি পাভেল মৃত। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. সিরাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, মৃত পাভেল দীর্ঘদিন ধরে মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করেছি। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ থাকার কারণে তদন্ত চলছে। জিডি মূলে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মো. খাইরুল ইসলাম/এএমকে