খাগড়াছড়িতে এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আবারও পাহাড়ি ও বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরের পর থেকে শহরজুড়ে উত্তেজনা এ ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। এতে করে করে খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সব সড়কের যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ঘটনার পরপরই পানছড়ি সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অন্যান্য সড়কে সন্ধ্যা থেকে বন্ধ রয়েছে যানচলাচল। 

লংগদু থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে খাগড়াছড়ি এসে আটকে যাওয়া তরিকুল মুল্লা বলেন, খাগড়াছড়ি থেকে বিকেল ৩টায় ঢাকার উদ্দেশে গাড়ি ছাড়ার কথা ছিল। পরে জানানো হয়েছে সন্ধ্যায় বাস ছাড়বে। এরপর ৭টার দিকে কাউন্টার থেকে জানানো হয়েছে, আজ বাস ছেড়ে যাবে না। এখন হোটেলে থাকতে হবে। 

ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে কাউন্টারে আসা হানিফ এন্টারপ্রাইজের চালক মো. শাহীন বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় কাউন্টার থেকে গাড়ি ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছে। আশপাশের সব রেস্টুরেন্ট বন্ধ। খাবার খাওয়ার সুযোগ পর্যন্ত নেই।

খাগড়াছড়ি শ্যামলী কাউন্টারের পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম মিন্টু বলেন, আজ ঢাকার উদ্দেশে কোনো বাস ছেড়ে যাবে না। অগ্রিম বুকিং দেওয়াদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। যদি কেউ একই টিকিটে পরবর্তী কোনোদিন যেতে চান, তবে যেতে পারবেন।

খাগড়াছড়ি সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের লাইন নিয়ন্ত্রক মো. সাহেদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টের কাছে দাবি করে বলেন, যাত্রী সংকট থাকায় খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের সব নৈশকোচের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। পরিস্থিতির ভিত্তিতে আগামীকাল বুধবার সকাল থেকে বাস ছাড়া হবে।

এর আগে, ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে স্কুলের অধ্যক্ষের রুমে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে জেলার পাহাড়ি ও বাঙালি সম্প্রদায়ের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

মোহাম্মদ শাহজাহান/কেএ