নোয়াখালীতে রাষ্ট্রদ্রোহের আরেক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলায় খালাস দিয়েছেন আদালত। যা একরামুল হক বিপ্লব নামের নোয়াখালী জেলা যুবলীগের এক নেতা দায়ের করেছিলেন। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকালে জেলা বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে বসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকার, খুনি, পাকিস্তানের বন্ধু বলে বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে অস্বীকার করে দেশের সার্বভৌমত্ব নস্যাতের অপচেষ্টা করেন। তার এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে আসামি করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নম্বর আমলি আদালতে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক একরামুল হক বিপ্লব বাদী হয়ে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন। মামলা তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সিকদার মো. সাইফুল ইসলাম ও এসআই মো. জসিম উদ্দিন ২০১৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বিজ্ঞাপন
গতকাল সোমবার এ মামলায় চারজন সাক্ষী আদালতে জবানবন্দিতে বলেন, তারা ঘটনার কিছুই জানেন না। পরে আদালত আজ মঙ্গলবার মামলার শুনানির দিন ধার্য করেন। আজ সকালে আদালত উভয় পক্ষের আইনজীবীর শুনানি শেষে অভিযোগকারীর কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে তারেক রহমানকে খালাস দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক কৈশোর। তারেক রহমানের পক্ষে অ্যাডভোকেট এ বি এম জাকারিয়া, রবিউল হক পলাশ, নুরুল আমিন, মাহমুদুল হাসান শাকিলসহ অর্ধশত আইনজীবী মামলা পরিচালনা করেন।
তারেক রহমানের পক্ষের আইনজীবী এ বি এম জাকারিয়া ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার বাদী একরামুল হক বিপ্লবের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত ২১ আগস্ট নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নোমান মহি উদ্দিনের আদেশে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলায় তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলায় তারেক রহমানের নামে পাঠানো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ফেরত পাঠাতে চরজব্বর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন বিচারক।
হাসিব আল আমিন/এমজেইউ