টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বিলের মাঝখানে খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ব্রিজ। তবে সংযোগ সড়কবিহীন ব্রিজটি কোনো কাজেই আসছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ফলে বর্ষার পানিতে ব্রিজের চতুর্দিকে রয়েছে থই থই পানি।

উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের মমিনপুর উত্তরপাড়া চিনাখড়ি-নইলাখড়ি বিলের ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ব্রিজে ওঠার জন্য নেই কোনো সড়ক। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দাবি, পানি শুকিয়ে গেলে ব্রিজের দুইপাশে রাস্তা করা হবে। 

এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্ষমতা খাটিয়ে ঠিকাদার নিম্নমান ও সিডিউল অনুযায়ী কাজ না করে তড়িঘড়ি করেই ব্রিজটির কাজ শেষ করেছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপজেলার ফলদার মমিনপুরে বিলের মধ্যে প্রায় ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজটির পাশাপাশি এর দুই পাশে ৫০ মিটার করে রাস্তা রয়েছে। ব্রিজ ও রাস্তার কাজ পায় জেলার মধুপুরের বিলাস বির্ল্ডাস নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তবে ওই প্রতিষ্ঠান সাব-ঠিকাদার হিসেবে কাজ করেন লিটন নামের একজন।

স্থানীয়রা জানান, ব্রিজটি যতটুকু উঁচু করা হয়েছে যখন বিলের পানি শুকিয়ে যাবে তখন ব্রিজের ওপর ওঠা যাবে না। কারণ সংযোগ সড়ক নেই। তখন খালের পানি পেরিয়ে যেতে হবে। ব্রিজটির কাজ শেষ করার কথা ছিল চার-পাঁচমাস আগেই। কিন্তু এখনও শেষ করেনি। ঠিকাদার তাদের মন মতো কাজ করে চলে গেছে। নিম্নমানের ব্রিজ এখন গলার কাটা হয়ে আছে।

মমিনপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ বলেন, কাজ শুরু করার পরই বিলের পানি চলে আসে। পানি আসায় তড়িঘরি করে কাজ শেষ না করেই ঠিকাদার চলে গেছে। ব্রিজটি উপকারের চেয়ে ভোগান্তি বাড়াবে। গ্রামের ভেতরের যে রাস্তা সেটিই হয়নি সুতরাং ব্রিজে কিভাবে কাজে লাগবে।

একই গ্রামের আশরাফুল ইসলাম বলেন, ব্রিজের আগে রাস্তা দরকার। ব্রিজটি যেভাবে করছে তাতে একদিকে হেলে পড়েছে। এতে ব্রিজের ওপর পানি জমে থাকে। ব্রিজ যেভাবে করেছে তাতে পানির সময় ব্রিজের নিচ দিয়ে নৌকা চলাচল করতে পারবে না। ব্রিজটি এখন পানির মধ্যে তলিয়ে আছে।

ব্রিজটির ঠিকাদার লিটন জানান, নিয়ম মেনেই কাজ করা হয়েছে। পানি শুকিয়ে গেলে দুইপাশে রাস্তা করা হবে।

অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিলের মধ্যে ব্রিজের কাজ এখনও শেষ হয়নি। পানি চলে আসায় কাজ বন্ধ ছিল। পানি শুকিয়ে গেলে আবার কাজ শুরু হবে। 

অভিজিৎ ঘোষ/আরকে