রংপুরের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. আজমল হোসেন বলেছেন, গণমাধ্যম সমাজ ও রাষ্ট্র বদলাতে সবচেয়ে বেশি সহায়ক ভূমিকা রেখে আসছে। এ কারণে সাংবাদিকদের সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে যত বেশি লেখালেখি হবে ক্ষমতাবানরা তত বেশি কোণঠাসা হবে। ক্ষমতার অপব্যবহারও কমবে।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রংপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ-পিআইবি আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘সাংবাদিকতায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

আজমল হোসেন বলেন, একদিনেই সবকিছুর পরিবর্তন হয় না। পরিবর্তনের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হয়। সাংবাদিকদের সমাজের দর্পণ বলা হয়। আমি বিশ্বাস করি সংবাদের মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তন আনা সম্ভব। এজন্য সাংবাদিকতায় নৈতিকতা ও নীতিমালা মেনে চলার সঙ্গে দায়িত্বশীল হওয়াটাও জরুরি। এ সময় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

আলোচনা শেষে কর্মশালায় অংশ নেওয়া প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. রেজাউল করিম, রংপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মতিন, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক, সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পিআইবির প্রশিক্ষক মোহাম্মদ শাহ আলম।  

এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে সমাজসেবা কার্যালয়ের সভাকক্ষে শুরু হয় ‘সাংবাদিকতায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ’ বিষয়ক এ কর্মশালা। কর্মশালায় রংপুর মহানগরসহ আট উপজেলার ৩৫ জন সাংবাদিক অংশ নেন।

কর্মশালায় সংবাদ ধারণা, সংবাদ সূচনা, সংবাদ শিরোনাম, বিভিন্ন ধরনের রিপোর্টিং ও রিপোর্ট লেখার কৌশল, সংবাদ সংগ্রহ কৌশল, গণমাধ্যমে শব্দ ও ভাষার প্রয়োগ, ফিচার, ফ্যাক্টচেক ও নিউ মিডিয়া, সাক্ষাৎকার গ্রহণের কৌশল, সাংবাদিকতার নৈতিকতা ও নীতিমালা, অনুসন্ধানমূলক রিপোর্টের ধারণা, অনুসন্ধানমূলক রিপোর্টিং লেখার কৌশল, রিপোর্ট করতে সাংবাদিকদের করণীয় ও বর্জনীয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। প্রশিক্ষণ ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হক, পিআইবি প্রশিক্ষক মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাভিশনের সিনিয়র বার্তা সম্পাদক রুহুল আমিন রুশদ ও জিটিভির নির্বাহী প্রযোজক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/জেডএস