কুড়িগ্রামে তিস্তার অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি। তবে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও তীব্র নদীভাঙনের কবলে পড়েছে তিস্তাপাড়ের মানুষ। ভাঙনে বসতভিটা ও ফসলি জমি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অনেকেই।

অপরদিকে অব্যাহত ভাঙন দেখা দিয়েছে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদে। দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ভুক্তভোগীদের। এ ছাড়া তিস্তা নদী অববাহিকার চরাঞ্চলসহ নিচু এলাকার ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও এখনো তলিয়ে আছে শত শত হেক্টর জমির আমনসহ বিভিন্ন ফসল।

কৃষকরা জানান, আকস্মিক বন্যায় আমন খেত তলিয়ে থাকায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলমান বন্যায় জেলার ৪৩১ হেক্টর জমির আমন খেতসহ অন্যান্য ফসল নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় আমন আবাদের ক্ষতি না হলেও অন্যান্য ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, তিস্তার পানি বাড়লে ভাঙে, কমলেও ভাঙে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হলেও কোনো ব্যবস্থা নেই এখানে। যার কারণে অসহায় হয়ে পড়েছেন ভাঙনকবলিতরা।

রাজারহাট উপজেলার তিস্তার অববাহিকার ঘরিয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের আমজাদ হোসেন বলেন, তিস্তার কয়েক দিনের ভাঙনে আমার রোপা আমন আবাদসহ জমি নদীতে চলে গেছে। জমি গেছে গেছে, বাড়িও কখন যেন নদীতে চলে যায়। আমার এখানে গত দুই দিনে প্রায় ৫০টির মতো পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে কাজের অনুমতি না থাকায় কাজ করতে পারছেন না বলে জানান পাউবোর এই কর্মকর্তা।

মো. জুয়েল রানা/এমজেইউ