ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শোভা খাতুন (১৮) নামের এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ডেঙ্গু জ্বরসহ নানা উপসর্গ নিয়ে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শোভাকে। তার শারীরিক অবস্থা জটিল হওয়ায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আজ ভোরে তিনি মারা যান।

হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, ভর্তি হওয়ার পর থেকে হাসপাতালের পক্ষ থেকে সব ধরনের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার উপসর্গগুলো জটিল হওয়ার কারণে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

শোভা খাতুন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার মোকাররমপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মৃত ইয়াদ আলীর মেয়ে। তিনি কুচিয়ামোড়া বিজিএম কলেজের ছাত্রী ছিলেন।

শোভা খাতুনের দুলাভাই মতিয়ার রহমান বলেন, গত ৩-৪ দিন ধরে সে অসুস্থ ছিল। গত দুদিন আগে টেস্ট করলে ডেঙ্গু পজিটিভ আসে। তখনই তাকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। অবস্থার অবনতি হলে রোববার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। আজ ভোরে সেখানে মারা যায়।

সোমবার দুপুরে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শনিবার দিবাগত রাতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শোভা খাতুন ভর্তি হয়। শনিবারই তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। অবস্থার অবনতি হাওয়ায় তাকে রাজশাহীতে রেফার্ড করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। ভেড়ামারাতে এটাই ডেঙ্গু আক্রান্ত কোনো রোগীর প্রথম মৃত্যু। ডেঙ্গুর সকল লক্ষণই তার মধ্যে ছিল। বিগত ১০ দিনে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ২৪ জনের মতো ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছিল। বর্তমানে হাসপাতালে তিনজন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাকিরা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন।

ভেড়ামাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ডেঙ্গুর বিস্তার যাতে না ছড়াতে পারে এ কারণে এডিস মশা নিধনে আমরা কাজ শুরু করেছি। বিভিন্ন জায়গায় স্প্রে (ওষুধ) ছিটানো হচ্ছে। এ ছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম অব্যাহত আছে। ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণ রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

শাহিনুল আশিক/রাজু আহমেদ/এমজেইউ