সাভারের আশুলিয়ায় বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভরত শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে কাউসার হোসেন খান (২৭) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। তাদের মধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নিহত কাউসার হোসেন খান ম্যাংগো টেক্স লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিক বলে জানা যায়। গুলিবিদ্ধরা হলেন—নয়ন, রাসেল, নাজমুল ও ওবায়দুল মোল্লা।

জানা যায়, মন্ডল পোশাক কারখানায় কয়েকজন শ্রমিক গুম হওয়ার গুজব বা তথ্যে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় ন্যাচারাল ও ম্যাংগো টেক্স পোশাক কারখানার শ্রমিকরা মণ্ডলের শ্রমিকদের সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ দেন। বিক্ষুব্ধ তিনটি পোশাক কারখানার কয়েক শতাধিক শ্রমিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে এবং পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র‍্যাবের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলি ছোড়ে। এতে অন্তত ২০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ইতোমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। চারজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। 

এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, কাউসার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ চারজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এনামুল হক মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার তলপেটে গুলি লেগেছিল। এ ছাড়া নয়ন নামে একজনের বুকের ডান পাশে গুলি লেগে বের হয়ে যায় এবং রাসেলের পেটেও গুলি লেগে বের হয়ে গেছে। নয়ন ও রাসেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান ওই চিকিৎসক।  

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলমের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

লোটন আচার্য্য/আরকে/এএমকে