ফরিদপুরের ভাঙ্গায় লালন আনন্দধামে হামলার পর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে কাউলিবেড়া ইউনিয়নের মোটরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় লালন ফকিরের ছবি, বেশ কিছু মূল্যবান গ্রন্থ ও জার্নাল পুড়ে গেছে। এছাড়া সেখানে থাকা একতারা, দোতারা, বায়া, জুড়ি, গিটারসহ বেশ কিছু বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, ভাঙচুর করা হয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভাস্কর্য।

২০১৩ সালে কাউলিবেড়া ইউনিয়নের মোটরা গ্রামে ৫১ শতাংশ জমির ওপর এই লালন আনন্দধাম প্রতিষ্ঠা করেন সদরপুর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ জাহিদ হাসান (৪২)।
এই আনন্দধামে নিয়মিত পাঠচক্র, লোক সাহিত্য নিয়ে গবেষণাসহ লোক গান ও লালন সংগীত, রবীন্দ্র-নজরুল-জসীমউদ্দীন জন্ম জয়ন্তী পালনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। এসব আসরে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা সমবেত হয়ে বিভিন্ন কাজ পরিচালনা করতেন।

সৈয়দ জাহিদ হাসান জানান, কয়েকদিন আগে একদল দুর্বৃত্ত এ আনন্দধামের সিসি ক্যামেরাগুলো ভাঙচুর করে। এ আনন্দধামটি সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা গাছ বেয়ে ভেতরে ঢুকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা আনন্দধামের বিভিন্ন কক্ষ থেকে বই ও বাদ্যযন্ত্র এক জায়গায় এনে আগুন ধরিয়ে দেন।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার একাধিক মৌলবাদী গোষ্ঠী লালন আনন্দধামে হামলার অপেক্ষায় ছিলেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর সামাজিকে যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আনন্দধামে হামলা করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেব।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, এ ঘটনাটি আমার জানা নেই। দ্রুত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জহির হোসেন/এফআরএস