বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মোনায়েল আহমেদ ইমরান (১৬) নামে এক কিশোর হত্যাকাণ্ডে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সংসদ শামীম ওসমানকে (৭৫) প্রধান আসামি করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় আরও ৫০-১০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে নিহতের বাবা মোহাব উদ্দিন ওরফে মো. ছোয়াব মিয়া (৪৫) বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন।

মামলার এজাহারের আসামিরা হলেন, সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল (৭৩), নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ এ কে এম শামীম ওসমান (৬৪), নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের নজরুল ইসলাম বাবু, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম (৫৬), শামীম ওসমানপুত্র অয়ন ওসমান (৩৭), বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক পরিচালক ও শামীম ওসমানের শ্যালক টিটু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান (৭৮), সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া (৬২), সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ও নাসিক সাবেক কাউন্সিলর আলহাজ্ব মতিউর রহমান মতি (৫৫), সাবেক ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম, ৮নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আকতার ওরফে পানি আক্তার (৩৮), ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াস, শ্রমিক লীগ নেতা মো. কবির হোসেন (৪৩), যুবলীগ নেতা তানজিম কবির সজু (৪১)।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২১ জুলাই বিকেল ৩টার পর প্রধান আসামি শেখ হাসিনার নির্দেশে অন্য আসামিরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সাইনবোর্ডস্থ পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন সাহেবপাড়া এলাকার পাকা রাস্তার গলিতে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। তখন শামীম ওসমানের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে ভুক্তভোগী মোনায়েল আহমেদ ইমরানকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুড়লে তার বুকের মাঝখানে গুলিবিদ্ধ হয়। পরবর্তীতে ওই ইমরানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মেহেদী হাসান সৈকত/আরকে