কুড়িগ্রামে বৃষ্টি ও উজানের ঢল কমে আসায় তিস্তা অববাহিকার বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে গত ২৫ ঘণ্টায় ৩৯ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি। তবে নদী অববাহিকার চরাঞ্চলসহ নিচু এলাকার ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও এখনো তলিয়ে আছে শত শত হেক্টর জমির আমন ক্ষেত।

এসব এলাকার কৃষকরা জানান, আকস্মিক বন্যায় আমন ক্ষেত তলিয়ে থাকায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।

রাজারহাট উপজেলার ঘরিয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের তিস্তার অববাহিকার আইজল নামে এক ব্যক্তি বলেন, দুইদিনের বন্যায় আমাদের ফসলে অনেক ক্ষতি হয়েছে। মরিচের আবাদ তো শেষ। এছাড়াও তিস্তা নদী ভাঙছে। আমরা খুব চিন্তায় আছি।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বন্যার পানিতে প্রায় সাড়ে ৪০০ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়। এর মধ্যে রোপা আমনের ক্ষতি কম হলেও অন্যান্য ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তবে কৃষি বিভাগ বলছে, চলমান বন্যায় জেলার ৪৩১ হেক্টর জমির আমন ক্ষেতসহ অন্যান্য ফসল নিমজ্জিত হয়। পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় এসব ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও দাবি করছে কৃষি বিভাগ।

এদিকে পানি বাড়া-কমার সঙ্গে তীব্র হয়ে উঠছে তিস্তা পাড়ের ভাঙন।

স্থানীয়রা জানান, পানি কমার সঙ্গে ভাঙন শুরু হলে তা প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নেই।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, এখন সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ভাঙন রোধে জরুরি কাজের অনুমতি না থাকায় ব্যবস্থা নিতে পারছি না। অনুমতি পেলে ভাঙন কবলিত এলাকায় কাজ করা হবে।

জুয়েল রানা/এফআরএস