ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ট্রেন আসতে বিলম্ব হওয়ায় স্টেশন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্টেশনে হামলা ও ভাঙচুরের চেষ্টা চালান বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন সেনাসদস‍্যরা। 

গফরগাঁও সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক‍্যাম্পের কমান্ডার মেজর মো. শরীফ ঢাকা পোস্টকে জানান, পাশ্ববর্তী ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া স্টেশনে স্থানীয়রা ট্রেন আটকে রাখেন। এতে আশপাশের স্টেশনে বেশ কিছু ট্রেন আটকা পড়ে। গফরগাঁও স্টেশনে আটকে পড়া যাত্রীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে স্টেশনে হামলার চেষ্টা করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। 

রেলওয়ে সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া দেওয়ানগঞ্জগামী যাত্রবাহী কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে সকাল ১০টা থেকে বালিপাড়া স্টেশনে কমিউটার ট্রেন আটকে রেখে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় সকাল সোয়া ১০টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জগামী আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস গফরগাঁও স্টেশনে, বেলা ১১টায় মশাখালী স্টেশনে মোহনগঞ্জগামী মহুয়া এক্সপ্রেস, দুপুর সাড়ে ১২টায় তারাকান্দিগামী আন্তঃনগর অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস কাওরাঈদ স্টেশনে, আউলিয়ানগর স্টেশনে দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ছাড়াও ঢাকাগামী আন্তঃনগর ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস এবং ফাতেমানগর স্টেশনে ঢাকাগামী আন্তঃনগর হাওর এক্সপ্রেস আটকে থাকে। গফরগাঁও–ময়মনসিংহ রেলপথে সাড়ে চার ঘণ্টা ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ থাকে। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে গফরগাঁও স্টেশনে আটকা পড়া যাত্রীরা। 

গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. আব্দুল্লাহ হারুন জানান, বিক্ষুদ্ধ যাত্রীরা রেলস্টেশনে হামলা করে আমাদের অবরোধ করে রেখেছিল। এ সময় তারা রেলস্টেশনে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালায়। তবে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। 

এর আগে গত ৫ ও ১৫ সেপ্টেম্বর আউলিয়ার নগর রেলস্টেশনে দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার লোকাল ট্রেন স্টপেজের দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। 

আমান উল্লাহ আকন্দ/আরএআর