সুনামগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামে আগুন
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রাধানগর পয়েন্টে তৈয়বুর রহমান নামে এক ব্যক্তির গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গুদামে আগুন লাগে। গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামের সঙ্গে থাকা আরও কয়েকটি দোকানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। গুদামে ৩ হাজার ৮০০টি গ্যাস সিলিন্ডার ছিল বলে দাবি ব্যবসায়ীর।
তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সুনামগঞ্জ ও বিশ্বম্ভরপুর স্টেশনের ৪টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। তবে গুদামটি গ্যাস সিলিন্ডার ভর্তি থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। পুকুরের পানির সঙ্গে ব্যবহার করা হয় বিশেষ ধরনের ফোম। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি রেড ক্রিসেন্টের ১৭ জন স্বেচ্ছাসেবক ও শতাধিক গ্রামবাসী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহযোগিতা করেন।
বিজ্ঞাপন
অগ্নিকাণ্ডে এলপিজি গ্যাসের গুদামের সঙ্গে থাকা আরও কয়েকটি দোকানও পুড়ে ছাই হয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বেঁচে যায় পাশে থাকা দুই তলা বিশিষ্ট আবাসিক একটি ভবন। আগুনের সূত্রপাত হওয়া দোকানটিতে এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রির পাশাপাশি গোদাম হিসেবে ব্যবহার হতো। গোদামে থাকা ৩ হাজার ৮০০ টি গ্যাস সিলিন্ডার ছিল বলে দাবি ব্যবসায়ীর। তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আশপাশের কয়েকজন দোকানি জানান, সন্ধ্যার আগে হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানে আগুন দেখতে পান তারা। দৌড়ে দোকানে গিয়ে দেখেন ভয়াবহ আগুন। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তাৎক্ষণিকভাবে তারা ঘটনাস্থলে এসে আগুণ নেভানোর কাজ শুরু করেন।
গোরারং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফুল মিয়া ঢাকা পোস্টকে জানান , মাগরিবের আজানের আগে বিদুৎ কিংবা গ্যাস সিলিন্ডার লিক হয়ে হঠাৎ আগুন ধরে। আগুনে প্রায় ৫টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নেভানো হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সুনামগঞ্জ সদর স্টেশনের ওয়্যারহাউস পরিদর্শক সুবল দেবনাথ ঢাকা পোস্টকে জানান, আমরা বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে আগুনের সংবাদ পাই। খবর পেয়ে আমাদের তিনটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে বিশ্বম্ভরপুর স্টেশন থেকে আরেকটি ইউনিট এসে যোগ দেয়। আমাদের মোট ৪টি ইউনিট মিলে প্রায় দেড় ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতি ও আগুনের সূত্রপাত তদন্ত করে পরবর্তীতে জানা যাবে।
তামিম রায়হান/আরএআর