মামলা প্রত্যাহার করে অতিসত্বর তারেক রহমানকে দেশে আনতে হবে : দুলু
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এম. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক অর্ডারে তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার হয়ে যেতে পারে। সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে অতিসত্বর তারেক রহমানকে বিজয়ের বেশে বাংলাদেশে আনতে হবে। তারেক রহমান বাংলাদেশের মানুষের নয়নের মনি। তাকে কাছে পেতে চায় দেশের আপামর জনসাধারণ।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নাটোরের সিংড়ার সোয়াইর গ্রামে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নাটোরের শহীদদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, বাংলাদেশ যখন সংকটে পড়ল, তখন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে সংকটে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ঠিক গত ১৫ বছর দেশের এই সংকটে জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য পুত্র দেশনায়ক তারেক রহমান দেশের মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে আন্দোলনে হতাহতের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছর উন্মুক্তভাবে আমরা সভা-সমাবেশ করতে পারিনি। বিনা ভোটের এমপি মন্ত্রীদের পালিত সন্ত্রাসীরা বারবার বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালাতো। এসবের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিংড়ার সাবেক এমপি কাজী গোলাম মোর্শেদ বলেন, ৫ তারিখের পর নতুন সূর্যোদয় হয়েছে। নতুন সূর্যোদয় ছিনিয়ে আনতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে বাংলার মানুষকে। এ বিজয় যাতে ষড়যন্ত্রকারীরা ছিনিয়ে নিয়ে যেতে না পারে।
সিংড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক কাজী গোলাম মোর্শেদ, আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রোকন ও সদস্য সচিব প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন ও সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, শহীদ হৃদয় আহমেদের বাবা রাজু আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ঢাকায় শহীদ নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাসিন্দা সোহেল রানা, হৃদয় আহমেদ এবং রমজান আলীর বাবা-মায়ের হাতে এক লাখ টাকা করে অনুদান প্রদান করা হয়।
গোলাম রাব্বানী/আরএআর