‘ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনা ধামাচাপা দিতে বিএনপির একটি মহল সক্রিয়’
ফরিদপুর নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী আব্দুল করিমের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও নিউ মার্কেটের অবৈধ অনির্বাচিত কমিটি বাতিলের দাবিতে ফরিদপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে মুজিব সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয় ‘ফরিদপুর নিউ মার্কেটের সকল ব্যবসায়ী ও কর্মসূচিবৃন্দ’ এর ব্যানারে।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধন চলাকালে দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য দেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন, ফরিদপুর মহানগর যুবদলের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেনজির আহমেদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোজাম্মেল হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সুলতান মাসুদ প্রমুখ।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে বক্তব্য দেন রেজাউল করিম, মিরোজ খান, গোলাম মোস্তাক খান, মোহাম্মদ শরীফ, টুটুল কুন্ডু প্রমুখ।
মানববন্ধনে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন বলেন, ওই ব্যবসায়ীর ওপর হামলার সাথে সাথে আমি পুলিশ সুপারকে জানাই। তিনি মামলা করতে বলেন। থানায় ওইদিন অভিযোগ করা হলেও আজও মামলা হয়নি। এ ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিএনপির একটি কুচক্রী মহল সক্রিয় রয়েছে।
বিএনপির এ নেতা অভিযোগ করে করে বলেন, থানার ওসি বলেন, মীমাংসা করে দেবেন। থানার কাজ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করা। তারা সালিশদার হতে চান কেন?
তিনি নিউ মার্কেটের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে প্রশাসক নিয়োগের দাবি জানিয়ে অভিযোগ করে বলেন, জেলা বিএনপির কিছু নেতা নিউমার্কেটের বর্তমান কমিটি বজায় রাখতে অপতৎরতা করছেন। তারা ‘ভিক্ষাবৃত্তি’ করে জীবন যাপন করছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরে যদি কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় তবে তার দায়িত্ব ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকেই গ্রহণ করতে হবে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় আহত ব্যবসায়ী আব্দুল করিম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা হয়নি বা থানা মামলা নেয়নি ঘটনাটি সঠিক নয়। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল করিমের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
জহির হোসেন/এসকেডি