কক্সবাজারের টেকনাফে অস্ত্র দিয়ে এক ব্যক্তিকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে কোস্ট গার্ডের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে টেকনাফ পৌরসভা আবু ছিদ্দিক মার্কেটে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী মো.শহীদের পরিবার।

এদিকে একইদিন সকালে টেকনাফের সাবরাংয়ে অভিযান চালিয়ে ১টি এ-৩ রাইফেল ও ৮টি ম্যাগাজিনসহ মো. শহীদ নামে ওই যুবককে আটক করা হয়েছে বলে ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশনের কমান্ডার লে. কমান্ডার লুৎফুল লাহিল মাজিদ।

তিনি জানান, শহীদ দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমার থেকে অস্ত্র পাচার করে টেকনাফের ডাকাত দলকে সরবরাহ করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাত দেড়টায় কোস্ট গার্ডের একটি দল মো. শহীদের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে বস্তায় মোড়ানো অবস্থায় ১টি এ-৩ রাইফেল ও ম্যাগজিন, ৮ রাউন্ড তাজা গোলা এবং ১টি দেশীয় চাপাতিসহ মো. শহীদকে (৩৭) আটক করে।

অন্যদিকে শহীদকে ডেকে নিয়ে অস্ত্র দিয়ে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেছে তার পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে শহীদের ভাই রাগেব উল্লাহ বলেন, আমার বড় ভাইকে ফাঁসিয়ে আমার চোখের সামনেই আটকের নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে। আমার সামনেই ভাইয়ের বাড়িতে তল্লাশি করে কিছুই পায়নি কোস্ট গার্ড। কিন্তু বাড়ি থেকে প্রায় ৮০-১০০ ফুট দূরে সুপারি ভিটা থেকে বস্তায় মোড়ানো অস্ত্র নিয়ে আসে। এ ঘটনা দেখে আমার ভাই কান্না শুরু করে।

তিনি বলেন, মূলত ঘটনাটি হচ্ছে এলাকার চোরাকারবারি মোয়াজ্জেম হোসেন প্রকাশ দানু ও আবদুল আমিন প্রকাশ রুল্ল্যা মাঝিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে মুন্ডারডেইল নৌঘাটে আমার ভাইকে সভাপতি বানানো হয়। ফলে তাদের চোরাচালানে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আমার ভাই। এ কারণে চোরাকারবারিরা ষড়যন্ত্র করে কোস্ট গার্ডকে দিয়ে সুপারি বাগানে অস্ত্র দিয়ে মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে। শহীদ কোনোভাবেই অবৈধ মাদক ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত নয়, যার সত্যতা তদন্ত করলে পাওয়া যাবে।

শহীদের স্ত্রী জেয়াসমিন করিম জোসনা বলেন, আমার তিন সন্তান, কোনো দিন দেখিনি আমার স্বামী কোনো অবৈধ কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন। মূলত নৌঘাটের সভাপতি হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নেমেছে চোরাকারবারিরা। আমি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

সাইদুল ফরহাদ/এসকেডি