ভাইরাল হওয়া সেই সাইনবোর্ড নিয়ে যা জানা গেল
পটুয়াখালীতে ‘বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ২০২৪ এর অন্যতম সহযোদ্ধার বাসভবনে’র পোস্টর সম্বলিত একটি সাইনবোর্ডের ছবি সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আন্দোলনের নাম দিয়ে এমন সাইনবোর্ড টাঙানো নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে ছবিটি। এরপর শহরের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ছবিটি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
জুনায়েদ ইসলাম নামে এক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ফেসবুকে উপহাস করে ফেসবুকে লেখেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কোনো সহযোদ্ধার বাসভবন এটা পটুয়াখালীবাসী জানতে চায়?’
মাকসুদুর রহমান নামে এক সংবাদকর্মী লেখেন, ‘আমাদের এলাকায় এ রকম একজন বিখ্যাত ব্যক্তির বাসভবন, তা না জানায় আমার অপরাধ কি জাতি মেনে নেবে?’
আরও পড়ুন
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পটুয়াখালীর কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা ইলিয়াস হোসেন নামে এক ব্যক্তি তার বাসার সামনে গেটে সাইনবোর্ডটি লাগিয়েছেন। তার মেয়ে নুসরাত জাহান স্বপ্না পটুয়াখালী থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং গত ৩ ও ৪ ও ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবির আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। নুসরাত জাহান স্বপ্না পটুয়াখালী মহিলা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক (বিজ্ঞান বিভাগ) ২য় বর্ষের ছাত্রী। মেয়ের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণেই প্রায় এক মাস আগে বাসার গেটের সামনে সাইনবোর্ডটি টাঙান তিনি।
সরেজমিনে শনিবার রাতে শহরের কাজীপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পটুয়াখালী চক্ষু হাসপাতালের সামনে ইলিয়াস হোসেনের বাড়ি (হোল্ডিং নং-০৮০০৪-০০৯৭-০০)। বাসার সামনে গেটে লাগানো রয়েছে একটি সাইনবোর্ড, তাতে লেখা রয়েছে, ‘বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের-২০২৪ এর অন্যতম সহযোদ্ধার বাসভবন।’ নিচে ঠিকানা লেখা রয়েছে কাজী পাড়া, পটুয়াখালী।
ইলিয়াস হোসেনের স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমার স্বামী এবং মেয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছিল। তিনি কোনো কিছু পাওয়ার জন্য এই সাইনবোর্ড টাঙাননি। আমি আগেই তাকে মানা করছিলাম যে এমন সাইনবোর্ড না টাঙাইতে, মানুষে হাসাহাসি করবে। কিন্তু তিনি তার ভালো লাগার জায়গা থেকেই এই কাজটা করেন।’
এ বিষয়ে ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘আমি ও আমার মেয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আন্দোলনের সফলতার পর ভালো লাগা থেকেই বাসার সামনে সাইনবোর্ডটি টাঙিয়েছিলাম। গত ৫ আগস্টের পর এটি টাঙাই। আজ দেখি ছবিটি ভাইরাল হয়ে গেছে।’
এসকেডি