বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ভারতের মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রাসুল (সা.) এর নামে জঘন্য কটূক্তি করেছে এবং তাকে সমর্থন করেছে বিজেপির সাংসদ নিতেশ নারায়ণ। ঘটনাটি বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অন্তরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমরা এই কটূক্তির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। 

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 
 
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে মামুনুল হক বলেন, ভারতের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এনে প্রতিবাদ করুন। বিশ্ব মানবতার দূত হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে যারা গালি দেবে, কটূক্তি করবে, তাদেরকে ইলিশ দেবেন তা মেনে নেওয়া হবে না।  

তিনি আরও বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদ বরদাস্ত করা হবে না। অবিলম্বে শিক্ষা কমিশন থেকে নাস্তিক, মুরতাদ ও সমকামীদের সরাতে হবে এবং শিক্ষা কমিশনে ইসলামী শিক্ষাবিদ ও আলেমদেরকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। 

সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার ও নৈরাজ্যবাদের বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা খেলাফত মজলিস এই সমাবেশের আয়োজন করে। 

সমাবেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশকে অন্য একটি দেশের অঙ্গ রাজ্যে পরিণত করতে চেয়েছিল। শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল বাংলাদেশকে ধ্বংস করার রাজনীতি। এদেশে সম্পদ লুট করে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। যেন বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় অধিকার ছিনতাই করেছে। মানুষের ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক অধিকার ছিনতাই করা হয়েছিল। 

সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মুফতি মাহমুদুল হক আযীযীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব জালাল উদ্দিন আহমদ, আতাউল্লাহ আমীন প্রমুখ। এতে হাজারো ধর্মপ্রাণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

আমান উল্লাহ আকন্দ/আরএআর