পঞ্চগড়ে টানা বৃষ্টির কারণে বেড়েছে দুর্ভোগ-ভোগান্তি। কখনো মুষলধারে, কখনো থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে কমেছে নিম্নআয়ের মানুষের রোজগার। 

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করেছে জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষনাগার কার্যালয়। তার আগের দিন বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছিল ১৭৩.৫ মিলিমিটার।

গত দিনের মতো শনিবার সকাল থেকে দেখা যায়, মুষলধারেই ঝরছে আশ্বিনের বৃষ্টি। টানা চারদিন ধরে বৃষ্টির কারণে দৈনন্দিন রোজগার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। দিন মজুর, পাথর শ্রমিক, ভ্যান চালক, চা শ্রমিকসহ এসব খেটে খাওয়া মানুষগুলো বৃষ্টির কারণে কাজে যেতে পারছেন না।

এদিকে আশ্বিনের মাঝামাঝিতে টানা বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরশেদ আলী, ইমান আলীসহ কয়েকজন দিনমজুর বলেন, গত চারদিন ধরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে, কমছে না। বৃষ্টির কারণে সকালে কাজে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে আয়-রোজগারে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একই কথা বলেন, নারী পাথর শ্রমিক ফিরোজা, কদবানুসহ কয়েকজন। তারা জানান, বৃষ্টির কারণে পাথরের সাইটে কাজ করা যাচ্ছে না। খুবই অসুবিধায় পড়েছেন।

আশ্বিনের বৃষ্টিতে শীত ডেকে আনার বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, আশ্বিনের এ বৃষ্টিতে শীত পড়তে শুরু করেছে। একদিন ধরে রাতে কাঁথা নিতে হচ্ছে। বিশেষ করে এ জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার সন্নিকটে থাকায় এ অঞ্চলে শীতের আগমন ঘটে অন্যান্য জেলার আগেই।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত চারদিন ধরে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শনিবার সকালে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে গত ২৪ ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড হয়েছিল ১৭৩.৫ মিলিমিটার। আর গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা কমেছে। আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে ২১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।

এসকে দোয়েল/আরকে