রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খোন্দকার মশিউল আজম চুন্নু এবং বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম শওকত সিরাজ গ্রুপের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়ছেন।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বালিয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে রাজবাড়ী জেলা শহরের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে স্থাপিত আর্মি ক্যাম্প থেকে ক্যাপ্টেন মো. এনামুল হাসানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ও বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ সময় যৌথ বাহিনী সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত খোন্দকার মশিউল আলম চুন্নুসহ (৫৫) তিন বিএনপি কর্মীকে আটক করে। এর মধ্যে ২ জন সংঘর্ষে আহত হওয়ায় তাদের বালিয়াকান্দি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

যৌথ বাহিনী সূত্র জানায়, মশিউল আলম চুন্নু সংঘর্ষে আহত হয়ে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে গেলে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। কিন্তু তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করে নিজ বাড়ির পাশের একটি বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করেন। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে যৌথ বাহিনী তাকে আটক করে। এ সময় তিনি নিজেকে ভিন্ন নামে পরিচয় দেন। কিন্তু যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

সংঘর্ষের ঘটনার পর এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যৌথ বাহিনী টহল ও সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলমান রয়েছে।

বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জামাল বলেন, প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় যৌথবাহিনীর অভিযানে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রাজবাড়ী-২ আসনের বিএনপির সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরুল হক সাবু ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ হারুন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে।

মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এসকেডি