রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলার জাহিদুল ভূঁইয়া, বিটু মোল্লা, মশিউল আজম চুন্নু, রুবেল মোল্লা, লিটন শেখ, আরিফ শিকদার ওসমান শেখ। আহতদের বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, রাজবাড়ী-২ আসনের বিএনপির সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরুল হক সাবু ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ হারুন গ্রুপের মধ্যে প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব বিদ্যমান। সেই দ্বন্দ্বে হারুন গ্রুপের বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম শওকত সিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ারদের সঙ্গে সাবু গ্রুপের বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউল আজম চুন্নু গ্রুপের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এরই জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার ভূঁইয়া বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বালিয়াকান্দি চৌরাস্তার মোড়ে আমি দোকান থেকে শ্যাম্পু ক্রয় করে মোটরসাইকেলে বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় মশিউল আজম চুন্নুর ছেলেসহ ৭/৮ টি মোটরসাইকেল নিয়ে কয়েকজন যুবক আমার কাছে চাঁদা দাবি করেন। এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে থাকা আকমল আমাকে মারধর শুরু করে। এরপর আমাদের সভাপতি গোলাম শওকত সিরাজের বাড়িতে গিয়ে আগুন দেয়। আমাদের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দিলে প্রতিপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। এরপর তারা আবার সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। রাত ৯টা পর্যন্ত দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।

এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে মশিউল আযম চুন্নুর সেলফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জামাল বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারুক হোসেন বলেন, প্রথম পর্যায়ে আহত অবস্থায় ৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এসকেডি