লক্ষ্মীপুর জেলা সদরসহ তিনটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় এখনো লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। বন্যার কারণে প্রতিদিন নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এ অবস্থায় মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে বন্যার্ত এলাকার পাঁচ শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে। এ সময় তাদের মাঝে প্রয়োজনীয় ওষুধও বিতরণ করা হয়।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের উত্তর বড়ালিয়া-গঙ্গাশিবপুর নূরানী তালিমুল কোরআন মডেল মাদরাসা প্রাঙ্গণে এ মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি সকালে ভার্চুয়ালি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন।

জানা গেছে, রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক শোয়েব হোসেন, শ্রাবণী চক্রবর্তী ও সাজিদ হোসেন অনিম।

মেডিকেল ক্যাম্প উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি জাকির হোসেন মিজান, দত্তপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম চৌধুরী, বিএনপি নেতা জাফর আহমেদ, দত্তপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব জামাল উদ্দিন জুয়েল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাবের হোসেন ভূঁইয়া ও জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।

আয়োজকরা জানান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির নির্দেশে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি জাকির হোসেন মিজানসহ এলাকাবাসীর উদ্যোগে মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাঁচ শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন। এসব রোগীদের মাঝে ১৭ প্রকার প্রয়োজনীয় ওষুধও বিতরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশুদেরকে মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।

আয়োজক কমিটির সদস্য ও ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মিরাজ হোসাইন বলেন, লক্ষ্মীপুর বন্যাকবলিত এলাকা। বন্যার পানি নামার পর বন্যার্ত লোকজনের নানা রোগবালাই দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে চর্মরোগে ভুগছে লোকজন। অনেক স্বল্প আয়ের মানুষ অর্থাভাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন না। আবার ওষুধ কিনতেও হিমশিম খেতে হয়। এজন্য দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আমরা পাশে দাঁড়িয়েছি।

প্রসঙ্গত, প্রায় দেড় মাস আগে লক্ষ্মীপুরে বন্যা হয়েছে। এক মাসের মাথায় বেশিরভাগ এলাকার পানি নেমে গেলেও কিছু কিছু এলাকার পানি এখনো নামেনি। এখনো জেলা সদর, কমলনগর ও রামগতির প্রায় লক্ষাধিক বাসিন্দা পানিবন্দি অবস্থায় আছেন।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এমজেইউ