বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে তাকওয়াবান মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে ভালোবাসতে হবে এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করতে হবে। ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠার পর থেকে সকল জুলুম-বাধা আদর্শিক শক্তি দিয়ে প্রতিহত করেছে। দেশের যেকোনো সংকট, ক্রান্তিকাল ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্রশিবির সর্বশক্তি দিয়ে দাঁতভাঙা জবাব দেবে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির যশোর অঞ্চলের সাথী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রশিবিরের প্রত্যেক দায়িত্বশীলকে জুলুমের অবসান করে ইনসাফ কায়েমের মাধ্যমে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে রাজপথে সাহসী ভূমিকা রাখতে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।

মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ছাত্রশিবিরের প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে নৈতিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে। ক্যাম্পাসগুলোতে তরুণ ছাত্রসমাজকে মাদক-সন্ত্রাস থেকে দূরে রেখে ইসলামের সুমহান আদর্শের পরিচয় তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসগুলোতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রত্যেক জনশক্তিকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক ও যশোর অঞ্চলের পরিচালক সালাহ উদ্দীনের সভাপতিত্বে সমাবেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যশোর শহর সাংগঠনিক জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রসূল, জেলা পূর্বের আমির মাওলানা আব্দুল আজীজ, জেলা পশ্চিমের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগরের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান সাঈদ, যশোর শহর সাংগঠনিক জেলা সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান সোহাগ, এইচ এম শামীম, অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, নূরুজ্জামান ও জেলা পূর্বের সাবেক সভাপতি আশিকুর রহমান।

কুরআনের দারস পাঠ করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যশোর শহর সাংগঠনিক জেলার সহকারী অর্থসম্পাদক আহসান কবির।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির যশোর জেলা পূর্বের সভাপতি রাকিব হাসান, জেলা পশ্চিমের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, নড়াইল জেলা সভাপতি মেহেদী হাসান, মাগুরা জেলার সভাপতি আশিক খানসহ ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলবৃন্দ। সাথী সমাবেশ পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির যশোর শহর সাংগঠনিক জেলার সেক্রেটারি আহমেদ ইবরাহিম।

এ্যান্টনি দাস অপু/এমজেইউ