সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সাদাকে সাদা বলবেন, কালোকে কালো বলবেন। সেই কালো বলার পাল্লাই যদি আমিও পড়ে যাই, তাহলে আমার কোনো আপত্তি নেই। আমি তখন বুঝব যে আমাকে সাদা হতে হবে। কিন্তু সাদাকে কালো বানানো এবং কালোকে সাদা বানানো এটা গুরুতর অন্যায়। এটা আমরা গত ১৫ বছর বেদনাদায়কভাবে লক্ষ করেছি। এখনো যে তার প্রভাব চলে গেছে তা আমি মনে করি না। এখনো কিছু কিছু প্রভাব রয়ে গেছে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় খুলনা প্রেসক্লাব পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। খুলনা প্রেসক্লাবের আয়োজনে হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াতের আমির বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ। সেই স্তম্ভটা অত্যন্ত মজবুত। কারও চোখের দিকে, মুখের দিকে তাকিয়ে সাংবাদিকতা হয় না। সাংবাদিকতা জিনিসটা একেবারেই ভিন্ন। এখানে তিনটি জিনিস লাগে। একটি হচ্ছে সত্যসন্ধানী মন, দ্বিতীয়টি হচ্ছে সাহস এবং তৃতীয় হচ্ছে যথাযথ সময়ে চেষ্টা। আপনাদের কাছে অনুরোধ আমাকে বা অন্য কাউকে ফেভার বা ডিজফেভার করার প্রয়োজন নেই। আপনাদের কাছে যেটা সত্য সেটাকেই তুলে ধরবেন।

তিনি আরও বলেন, আমি অভিভূত হয়েছি, খুলনায় আলাদা দুটি ইউনিয়ন আছে, কিন্তু সব মিলে একটি ঐক্যবদ্ধ প্রেসক্লাব আছে, খুবই সুন্দর। এটাই সৌন্দর্য। আপনাদের এটা বহাল থাকুক দোয়া করি। একটি সুশীল, সভ্য, সুস্থ এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে আপনাদের কলম হোক মুক্ত। মুখও হোক মুক্ত, সেই দোয়া করি।

খুলনা প্রেসক্লাবে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের বিষয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ঘুরে যা দেখলাম, এটা কেউ ফিরিয়ে আনতে পারবে না। সরকার আশা করি আপনাদের পাশে দাঁড়াবে, আমরাও সরকারের কাছে দাবি জানাই। সরকারের বাইরে আমরাও কিছু করব। 

মতবিনিময় সভা শেষে জামায়াতের আমির বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন।

মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক এনামুল হক। সভা পরিচালনা করেন ক্লাবের সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির নির্বাহী সদস্য ও ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ দিদারুল আলম, নির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান মিলটন ও আহমদ মুসা রঞ্জু, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শেখ আবু হাসান ও এস এম জাহিদ হোসেন, ক্লাবের সিনিয়র সদস্য আশরাফ-উল-হক, মো. আনিসুজ্জামান, ক্লাব সদস্য এস এম সাহিদ হোসেন, মো. মোজাম্মেল হক হাওলাদার, রকিব উদ্দিন পান্নু, এইচ এম আলাউদ্দিন, আবুল হাসান হিমালয়, মো. আমিরুল ইসলাম, মো. জাহিদুল ইসলাম, দেবব্রত রায়, শেখ কামরুল আহসান, শেখ শামসুদ্দীন দোহা, এস এম আমিনুল ইসলাম, মো. মাকসুদুর রহমান (মাকসুদ), মোহাম্মদ মিলন, এস এম নূর হাসান জনি, শেখ আব্দুল হামিদ, মো. আসাফুর রহমান কাজল, মো. কলিন হোসেন আরজু, মো. এরশাদ আলী, মো. রাশিদুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক রানা, এহতেশামুল হক শাওন সাংবাদিক আবদুল খালেক আজিজীসহ খুলনা প্রেসক্লাবের স্থায়ী ও ইউজার সদস্য এবং খুলনায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ।

মোহাম্মদ মিলন/এমজেইউ