আশ্বিনের মাঝামাঝি সময়েও যেন দেখা মিলছে আষাঢ়ে বৃষ্টির দাপট। দেখা দিয়েছে বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। আকাশ চিরে কখনও মুষলধারে আবার কখনও ঝিরিঝিরি ঝরছে বৃষ্টি। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে নিম্ন আয়ের মানুষরা।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৩ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কার্যালয়। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছিল ৫৬ মিলিমিটার।

গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকেই ঝরছে আশ্বিনের মুষলধারার বৃষ্টি। টানা তিনদিন ধরে বৃষ্টির কারণে দৈনন্দিন রোজগার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। দিনমজুর, পাথর শ্রমিক, ভ্যানচালক, চা শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষগুলো বৃষ্টির কারণে কাজে যেতে পারছেন না। অনেকে প্রয়োজনের বাইরে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। আবার পেটের দায়ে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো বৃষ্টি উপেক্ষা করেই জীবিকার গন্তব্যে ছুটছেন।

এদিকে তিনদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে কমেছে তাপমাত্রা। শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

স্থানীয়রা জানান, টানা কয়েকদিন ধরে আশ্বিনের বৃষ্টিতে আয়-রোজগারে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃষ্টির কারণে কাজে যাওয়া যাচ্ছে না। আরেকদিকে আশ্বিনের এ বৃষ্টিতে শীত পড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে শেষ ভাদ্র থেকেই শুরু হয় শীতের আগমনি। আশ্বিন বয়ে নিয়ে আসে হিমেল হাওয়া। উত্তরের জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার সন্নিকটে থাকায় এ অঞ্চলে শীতের আগমন ঘটে অন্যান্য জেলার আগেই। ফলে এবারের বৃষ্টি শীত বয়ে নিয়ে আসছে। রাতে এখন কাঁথা নিয়ে ঘুমাতে হয় বলে জানাচ্ছেন তারা।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, গত তিনদিন ধরে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শুক্রবার সকাল থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৩ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ৫৬ মিলিমিটার ও বুধবার ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল। গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা কমেছে। এ বৃষ্টিপাতে তাপমাত্রা কমে শীতের আমেজ শুরু হচ্ছে।

এসকে দোয়েল/এফআরএস