কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত (ভারত-বাংলা) হাট না খুলতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর আবেদন দিয়েছে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদনপত্র তুলে দেন উপজেলা জামায়াতের আমির আবুল বাশার মো. আব্দুল লতিফ। 

এ সময় উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আজিজুর রহমান, বায়তুলমাল সম্পাদক প্রফেসর মন্তাজ আলী, কোদালকাটি ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা মফিজুল হক, সদর ইউনিয়ন সভাপতি শাহাব উদ্দিন, সেক্রেটারি মাওলানা আইয়ুব আলী, মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন সেক্রেটারি মাওলানা হযরত আলী, ইউনিট সভাপতি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

আবেদনে ভারত-বাংলা বর্ডার হাট বন্ধ রাখার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, হাট চালু হলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়তে পারে। শুধু তাই নয়, সীমান্ত এলাকা হওয়ায় এখানে অবৈধ মদ, গাঁজা, ইয়াবা এবং অন্যান্য মাদকদ্রব্যের বিস্তার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব কার্যকলাপ যুব সমাজকে বিপদগামী করবে এবং এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। এছাড়াও বড় কারণ হিসেবে জামায়াতের স্থানীয় নেতারা দেখছেন সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দলটির নেতাকর্মীরা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত পালাচ্ছেন। এ বর্ডার হাট খুললে তাদের পালাতে আরও সহজ হবে বলে মনে করছেন জামায়াত নেতারা। 

রাজীবপুর উপজেলা জামায়াতের আমির আবুল বাশার মো. আব্দুল লতিফ বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত পালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আজকে বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করে এই হাটটি যেন খোলা না হয় সে বিষয়ে একটি আবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দিয়েছি। প্রয়োজনে হাট বন্ধ রাখতে আমরা জেলা প্রশাসক ও মন্ত্রণালয়েও আবেদন দিব। 

তিনি আরও বলেন, ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে বর্তমানে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। আমরা আশঙ্কা করছি এই সীমান্ত হাট খুলে দিলে ভারত এই হাট ব্যবহার করে বাংলাদেশে অস্ত্র পাঠিয়ে দেশে একটি নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করতে পারে। তাই দেশে যতগুলো সীমান্ত হাট রয়েছে সব-কটি হাট না খুলতে ওই সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের আবেদন দেব স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী।

রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভির আহমেদ আবেদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরপরই ভারত বাংলা বর্ডার হাটটি বন্ধ হয়ে যায়।

জুয়েল রানা/আরএআর